হকি ফেডারেশন সিনিয়র জাতীয় দলের হেড কোচ হিসেবে মামুনুর রশীদকে চূড়ান্ত করেছে। আসন্ন এএইচএফ কাপ হকি টুর্নামেন্ট যা এপ্রিলের মাঝামাঝি ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তায় অনুষ্ঠিত হবে, তার প্রস্তুতির অংশ হিসেবে মামুনুর রশীদকে হেড কোচ নিযুক্ত করা হয়েছে। সহকারী কোচ হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন মশিউর রহমান বিপ্লব এবং ট্রেইনার হিসেবে আছেন আলমগীর ইসলাম।
হকি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক কর্ণেল রিয়াজুল হাসান বলেন, ‘আমরা বেশ কয়েকজন কোচের সাক্ষাতকার নিয়েছি। সেই সাক্ষাতকারের ভিত্তিতে সবচেয়ে যোগ্যতা সম্পন্ন ব্যক্তিকেই নির্বাচিত করা হয়েছে।’
এ সিদ্ধান্ত গ্রহণে ফেডারেশনের নির্বাহী সদস্য আবু জাফর তপন, হোসেন ইমাম চৌধুরী সান্টা, সাবেক জাতীয় খেলোয়াড় জামাল হায়দার সহ আরও কয়েকজন সদস্যের সমন্বয়ে একটি প্যানেল ছিল, যারা কোচদের সাক্ষাৎকার নিয়ে পর্যালোচনা করেছেন।
হকি অঙ্গনে গুঞ্জন ছিল মামুনুর রশীদ হেড কোচ এবং মশিউর রহমান বিপ্লব সহকারী কোচ হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করবেন। এতটাই জোর গুঞ্জন ছিল যে, উভয়েই সাক্ষাৎকারে অংশ না নিয়ে সরাসরি মনোনীত হয়েছেন।
মামুনুর রশীদ একজন সাবেক জাতীয় তারকা খেলোয়াড় এবং কোচ হিসেবেও দারুণ সফল। তিনি মেরিনার্স ক্লাব ও লিগ চ্যাম্পিয়ন করতে সক্ষম হয়েছেন এবং সাম্প্রতিক সময়ে জুনিয়র হকি দলকেও শিরোপা জিতিয়েছেন। ২০১৫ সালে তিনি জাতীয় দলের হেড কোচ হিসেবে ওয়াল্ড হকি লিগ রাউন্ড-টুতে দায়িত্ব পালন করেছিলেন।
এ নিয়ে মামুন বলেন, ‘দেশের জন্য কাজ করতে পারা সব সময় সম্মানের। নয় বছর পর আবার হেড কোচ হলাম। আগে ওয়াল্ড হকি লিগে ছিলাম এবার এএইএফ কাপ। এই আসরে বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে আগে এবারও সেটাই লক্ষ্য।’
এএইচএফ কাপের জন্য ২০ ফেব্রুয়ারি খেলোয়াড়দের ফিটনেস টেস্ট অনুষ্ঠিত হবে। তবে, হকি ফেডারেশন ৩২ বছরের বেশি বয়সী খেলোয়াড়দের এই টেস্টে ডাকেনি। এর মধ্যে অন্যতম খেলোয়াড় রাসেল মাহমুদ জিমি এই টেস্টের জন্য ডাক পাননি, যা নিয়ে সমালোচনা চলছে। ফেডারেশনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ‘বিষয়টি প্রাথমিক আলোচনা। সামনে পরিবর্তন হতেও পারে বা নাও পারে এখনই বলা যাচ্ছে না।’
সুপ্তি / টিডিএস