আইপিএলে আরও ১০ থেকে ২০টি ম্যাচ বাড়ানোর পরিকল্পনা করছে কর্তৃপক্ষ। এ নিয়ে ইতিমধ্যে আইসিসি ও বিসিসিআই-এর সঙ্গে আলোচনা চালাচ্ছে আইপিএল ম্যানেজমেন্ট ও ফ্র্যাঞ্চাইজি মালিকরা। তবে সবকিছু নির্ভর করছে সম্প্রচার স্বত্বধারী প্রতিষ্ঠানের আগ্রহের ওপর।
বর্তমানে আইপিএলে ১০টি দল অংশ নিচ্ছে। ২০২২ সালে গুজরাট টাইটান্স ও লক্ষ্নৌ সুপার জায়ান্টস যুক্ত হওয়ার পর প্রতি আসরে ৭৪টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। শুরুতে ২০২৫ সাল থেকেই ম্যাচ সংখ্যা বাড়িয়ে ৮৪ করার পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু সম্প্রচার মাধ্যমগুলোর আগ্রহের অভাবে তা সম্ভব হয়নি। টিভি চ্যানেলগুলো জানিয়েছে, একই সময়ে আইপিএল ছাড়াও দ্বিপাক্ষিক সিরিজ ও আইসিসির নানা ইভেন্ট থাকে, ফলে অতিরিক্ত ম্যাচ সম্প্রচার করা তাদের জন্য কঠিন। তাছাড়া, ২০২৫ পর্যন্ত আইসিসির ফিউচার ট্যুর প্রোগ্রামের ব্যস্ত সূচির কারণেও ম্যাচ বাড়ানো সম্ভব হচ্ছে না। এমনকি ২০২৭ সালের আগেও পরিস্থিতির খুব একটা পরিবর্তন হবে না।
তবে ২০২৮ সাল থেকে ৯৪ ম্যাচের একটি বিশাল আইপিএল আয়োজনের পরিকল্পনা করছে কর্তৃপক্ষ। নতুন কোনো দল যোগ করার ইচ্ছা নেই; আইপিএল ১০ দল নিয়েই চলবে। পরিবর্তন আসবে ফরম্যাটে— গ্রুপ পর্বের মতো প্লে-অফেও হোম অ্যান্ড অ্যাওয়ে ভিত্তিতে ম্যাচ আয়োজন করার চিন্তাভাবনা চলছে, যাতে প্রতিটি দল তাদের হোম ভেন্যুতে খেলার সুযোগ পায়।
আইসিসির চেয়ারম্যান অরুণ ধুমাল বলেন, “এটা আমাদের জন্য দারুণ একটা সুযোগ। আমরা আইসিসি ও বিসিসিআই-এর সঙ্গে গুরুত্ব দিয়ে আলোচনা করছি। দর্শকদের আগ্রহ এখন দ্বিপাক্ষিক সিরিজ ও আইসিসি ইভেন্টের চেয়ে ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে বেশি, তাই এই সুযোগ কাজে লাগাতে হবে।”
তিনি আরও জানান, আইপিএলের জন্য আইসিসির কাছ থেকে একটি বড় ফাঁকা সময় চাওয়া হয়েছে। তবে সম্প্রচার মাধ্যমগুলোর মধ্যে কিছু সংশয়ও রয়েছে। তাদের মতে, আইপিএলের প্রতি মৌসুম মাঝামাঝি সময়ে দর্শক আগ্রহ কিছুটা কমে যায়। ফলে ম্যাচ সংখ্যা ও সময় বাড়ালে টুর্নামেন্টের আকর্ষণ ধরে রাখা নিয়ে কিছুটা সন্দেহ রয়েছে।
আইপিএলের ইতিহাস ঘেঁটে দেখা যায়,
২০০৮ সালে ৫৯ ম্যাচের আসর ছিল ৪৪ দিনে,
২০১১ সালে ১০ দলের টুর্নামেন্টে ৭৪ ম্যাচ হয়েছিল ৫০ দিনে,
২০১৪ থেকে ২০২১ পর্যন্ত ৮ দলের টুর্নামেন্টে প্রতি আসরে ৬০টি করে ম্যাচ হয়, সময় লেগেছিল ৪৬ থেকে ৫২ দিন,
২০২২ সালে আবার ১০ দল নিয়ে শুরু হয় ৭৪ ম্যাচের আসর, যা চলেছে ৬০-৬৪ দিন ধরে।
৯৪ ম্যাচের আইপিএল আয়োজন করতে হলে প্রায় তিন মাসের জন্য আইসিসির সূচিতে বড় ফাঁক রাখতে হবে। এজন্যই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসতে কিছুটা সময় লাগবে।