আইপিএলের চলমান অষ্টাদশ আসরের শুরুতে সেভাবে নিজের নামের প্রতি সুবিচার করতে পারছিলেন না যশস্বী জয়সওয়াল। একইভাবে তার দল রাজস্থান রয়্যালসও ছিল ব্যর্থ। তবে এখন ব্যাট হাতে দলের প্রধান ভরসা হয়ে উঠেছেন এই ওপেনার। গতকাল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর বিপক্ষে ম্যাচে তিনি ইনিংস শুরু করেন ছক্কা হাঁকিয়ে, আর তাতেই গড়লেন একটি বিশ্বরেকর্ড।
বেঙ্গালুরুর চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে ২০৬ রানের লক্ষ্য তাড়ায় রাজস্থানকে দুর্দান্ত শুরু এনে দেন জয়সওয়াল। স্বাগতিক পেসার ভুবনেশ্বর কুমারের প্রথম ডেলিভারি ছিল শর্ট লেংথে এবং গতিও ছিল কম, তবে কোনো ভাবনা ছাড়াই সেটি সীমানাছাড়া করে দেন জয়সওয়াল। ২৩ বছর বয়সী এই ওপেনারের এমন বিধ্বংসী শুরুর জন্য রাজস্থানকে দ্রুত রান তোলার পথ করে দেয়।
জয়সওয়ালের কল্যাণে পাওয়ার প্লে শেষে ২ উইকেট হারালেও রাজস্থান তুলে নিয়েছিল ৭২ রান। এ নিয়ে চলতি আইপিএলে পাওয়ার প্লেতে সর্বোচ্চ ১৪টি ছয় হাঁকিয়ে নতুন রেকর্ড গড়লেন তিনি। তার ইনিংসের প্রথম বলেই ছক্কা মারার কীর্তি বিশ্বরেকর্ড হয়ে দাঁড়ায়। কারণ আইপিএলে এখন পর্যন্ত তিনবার ইনিংসের প্রথম বলেই ছক্কা মেরেছেন শুধু তিনি। এর আগে কেউই এ কীর্তি রচনা করতে পারেননি।
রাজস্থানের এই ব্যাটারের মতো ইনিংসের প্রথম বলেই ছয় মারার কীর্তি আছে সাতজনের। তারা হলেন— নামান ওঝা, মায়াঙ্ক আগারওয়াল, সুনীল নারিন, বিরাট কোহলি, রবিন উথাপ্পা, ফিল সল্ট ও প্রিয়াংশ আর্য। তবে জয়সওয়াল ছাড়া আর কোনো ব্যাটারেরই একাধিকবার এই রেকর্ড নেই। শেষ পর্যন্ত তিনি ১৯ বলে ৪৯ রান করেন, তার ইনিংসে ছিল ৭টি চার ও ৩টি ছয়ের মার।
যদিও জয়সওয়ালের এই বিশ্বরেকর্ড গড়া ইনিংসটি রাজস্থান জয়ী হতে পারেনি, তবে তার পরবর্তী ব্যাটার ধ্রুভ জুরেল ভালো পারফর্ম করেন। তরুণ এই ব্যাটার ৩৪ বলে ৩টি চার ও ৩টি ছক্কায় ৪৭ রান করেন। এছাড়া নিতীশ রানা (২৮) ও রিয়ান পরাগ (২২) থিতু হলেও ইনিংস বড় করতে পারেননি।
বেঙ্গালুরুর জয়ের মূল কৃতিত্বটি অস্ট্রেলিয়ান পেসার জশ হ্যাজলউডের, যিনি ১৯তম ওভারে মাত্র ২ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন। ম্যাচ শেষে বোলিং কোটা সম্পন্ন করে ৪-৩৩-৪ ফিগার নিয়ে ম্যাচসেরা হন তিনি।
নির্ধারিত ওভার শেষে রাজস্থানের রান থামে ৯ উইকেটে ১৯৪ রানে। এর আগে বিরাট কোহলি ৭০ ও দেবদূত পাডিক্কাল ৫০ রান করলে বেঙ্গালুরুর সংগ্রহ দাঁড়ায় ৫ উইকেটে ২০৫ রান।