সেঞ্চুরির পর অভিষেক শর্মার বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাসই বলে দিচ্ছিল কতটা প্রতীক্ষায় ছিলেন এমন একটি ইনিংসের জন্য। মাত্র ২৪ বছর বয়সেই আইপিএলে বড় অঙ্কে রিটেনশন পাওয়া অভিষেকের কাঁধে চাপ ছিল প্রচুর। তবে ২০২৫ আসরে শুরুটা তার প্রত্যাশামতো হয়নি—অন্তত পাঞ্জাব কিংসের বিপক্ষে ম্যাচের আগে পর্যন্ত।
কিন্তু সেই ম্যাচেই অভিষেক জানিয়ে দিলেন তাকে এখনই হিসাবের বাইরে রাখা ঠিক নয়। শুরু থেকেই আগ্রাসী ছিলেন তিনি। পাঞ্জাবের বোলারদের ওপর চালিয়েছেন তাণ্ডব। বিশেষ করে মার্কো ইয়ানসেনের বলে তার ১০৬ মিটার লম্বা ছক্কাটি ছিল চোখধাঁধানো—চলতি আইপিএলের এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড় ছক্কা।
মাত্র ১৯ বলে ফিফটি, আর ৪০ বলেই সেঞ্চুরি—আইপিএল ইতিহাসে যা ষষ্ঠ দ্রুততম এবং ভারতীয়দের মধ্যে দ্বিতীয় দ্রুততম। এমন দুর্দান্ত ইনিংসের পর অভিষেক শর্মা উদযাপন করলেন একটু ভিন্নভাবে। সেঞ্চুরি করার পর তিনি তুলে ধরলেন একটি ছোট কাগজ যাতে লেখা ছিল: “This one is for Orange Army”।
তার এই ব্যতিক্রমী উদযাপন জন্ম দিয়েছে নানা জল্পনার। এমনকি প্রতিপক্ষ অধিনায়ক শ্রেয়াস আইয়ারও কৌতুহল দমাতে না পেরে এগিয়ে এসে নিজ চোখে দেখলেন সেই কাগজে কী লেখা ছিল। মাঠে এমন আবেগঘন ও নাটকীয় মুহূর্ত অভিষেকের ইনিংসকে আরও স্মরণীয় করে তুলেছে।
হায়দরাবাদের রাজীব গান্ধী স্টেডিয়ামে কমলা জার্সি ও পতাকায় যাঁরা গ্যালারি মাতিয়ে রেখেছিলেন পুরো ম্যাচজুড়ে অভিষেক শর্মা তার সেঞ্চুরিটি উৎসর্গ করেছেন সেই কমলা রঙের স্বাগতিক সমর্থকদেরই। ৭টি চার ও ৬টি ছক্কায় সাজানো ঝকঝকে ইনিংস দিয়ে শুধু স্কোরবোর্ডই নয় মনও জিতে নিয়েছেন তিনি। দর্শকদের পুরোপুরি বিনোদন দিয়ে নিজের সেঞ্চুরির উৎসব ভাগ করে নিয়েছেন গ্যালারির প্রিয় Orange Army-র সঙ্গে।
শতক পূর্ণ করেই থেমে যাননি অভিষেক শর্মা। বরং আরও আগ্রাসী হয়ে ওঠেন তিনি। পরের ১৪ বলে যোগ করেন অতিরিক্ত ৪১ রান। শেষ পর্যন্ত ৫৫ বল খেলে ১৪১ রানে থামেন এই বাঁহাতি ব্যাটার। অভিষেকের দুর্দান্ত ইনিংসে ভর করে ৮ উইকেটের বড় জয় তুলে নেয় হায়দরাবাদ। টানা চার ম্যাচ পর পয়েন্ট টেবিলেও দেখা মিলেছে কাঙ্ক্ষিত আলোর।
ইউএ / টিডিএস