গত আসরে দাপটের সঙ্গে আইপিএল শিরোপা জিতেছিল শাহরুখ খানের কলকাতা নাইট রাইডার্স। তবে এবারের আসরের শুরুতেই ভিন্ন চিত্র দেখছে দলটি। যদিও আইপিএল এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। তবে তিন ম্যাচের দুটিতে হেরে পয়েন্ট টেবিলের তলানিতে রয়েছে কলকাতা।
শুরুটা হয়েছিল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর বিপক্ষে পরাজয়ে। এরপর রাজস্থান রয়্যালসকে হারালেও মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের বিপক্ষে আবারও হেরেছে দলটি। ফলে বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের জন্য এবারের মৌসুমের সূচনা আশানুরূপ হয়নি। আসর শুরুর আগে অধিনায়ক শ্রেয়াস আইয়ারসহ কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ ক্রিকেটারকে ছেড়ে দিলেও কলকাতার দল খুব একটা দুর্বল নয়।
ব্যাটারদের ব্যর্থতাই কলকাতার বিপর্যয়ের মূল কারণ। রানবন্যার আইপিএলে তারা এখনো নিজেদের সেভাবে মেলে ধরতে পারেনি। রাজস্থানের বিপক্ষে পাওয়া একমাত্র জয়ে তুলনামূলক ছোট লক্ষ্য পেয়েছিল তারা। ১৫২ রানের টার্গেট তারা ১৫ বল ও ৮ উইকেট হাতে রেখে পার করে। অন্যদিকে, বেঙ্গালুরুর বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে ইডেন গার্ডেন্সে ১৭৪ রান তুললেও সেটি যথেষ্ট হয়নি। বিরাট কোহলির নেতৃত্বে ২২ বল ও ৭ উইকেট হাতে রেখে জিতে নেয় বেঙ্গালুরু।
সবশেষ ম্যাচে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের বিপক্ষে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে কলকাতা। ১৬.২ ওভারে মাত্র ১১৬ রানে অলআউট হয় দলটি। জয়ের জন্য সহজ লক্ষ্যে খেলতে নেমে মুম্বাই কোনো তাড়াহুড়ো করেনি। রায়ান রিকেলটনের ৬২ ও সূর্যকুমার যাদবের ২৭ রানের ইনিংসে মাত্র ৪৩ বল ও ৮ উইকেট হাতে রেখেই জয় নিশ্চিত করে মুম্বাই। এই ম্যাচেই চলতি আসরে প্রথম জয় পেল আইপিএলের সর্বোচ্চ শিরোপাজয়ী দল মুম্বাই।
কাকতালীয়ভাবে, আইপিএলের বর্তমান পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষ পাঁচ দলের মধ্যে মাত্র একটিই শিরোপাজয়ী ফ্র্যাঞ্চাইজি। অন্যদিকে, ৬-১০ নম্বর দলের প্রত্যেকেই অন্তত একবার আইপিএল জিতেছে। তলানিতে থাকা কলকাতার ঝুলিতে ৩টি, মুম্বাই ও চেন্নাইয়ের সমান ৫টি করে, আর ৮-৯ নম্বরে থাকা হায়দরাবাদ ও রাজস্থানের ঝুলিতে একটি করে শিরোপা রয়েছে।
এখন পর্যন্ত কলকাতা, মুম্বাইসহ পাঁচটি দল তিন ম্যাচে একটি করে জয় পেয়েছে। তবে নেট রানরেট (-১.৪২৮) খারাপ থাকায় কলকাতা ১০ নম্বরে। নবম স্থানে থাকা রাজস্থানের রানরেট -১.১১২। মুম্বাই জয় পাওয়ায় উঠে এসেছে ষষ্ঠ স্থানে (রানরেট ০.৩০৯), এরপর রয়েছে চেন্নাই (-০.৭৭১) ও হায়দরাবাদ (-০.৮৭১)।
বর্তমানে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে রয়েছে বেঙ্গালুরু। দুই ম্যাচে চার পয়েন্ট নিয়ে তাদের রানরেট ২.২৬৬। দ্বিতীয় স্থানে দিল্লি ( চার পয়েন্ট, রানরেট ১.৩২০)। এরপর লখনৌ (০.৯৬৩) ও গুজরাট (০.৬২৫) রয়েছে যথাক্রমে তৃতীয় ও চতুর্থ স্থানে। একমাত্র পাঞ্জাব একটি ম্যাচ খেলে দুই পয়েন্ট নিয়ে পাঁচ নম্বরে রয়েছে।
ইউএ / টিডিএস