চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ব্যস্ততা এখনও শেষ হয়নি। এর মধ্যেই ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল) সামনে রেখে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো অনুশীলনে নেমে পড়েছে। টুর্নামেন্ট শুরু হওয়ার আগেই বিসিসিআই বেশ কিছু নতুন নির্দেশনা জারি করেছে, যেগুলি মেনে চলতে হবে ক্রিকেটারদের, নাহলে শাস্তির সম্মুখীন হতে হতে পারে। ভারতীয় গণমাধ্যমে এমনটাই জানানো হয়েছে।
কিছুদিন আগে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড জানিয়েছিল, এখন থেকে ম্যাচের দিন কোনো ধরনের অনুশীলন হবে না। সেইসঙ্গে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে যে, কোনো আঞ্চলিক ম্যাচ, লিজেন্ডস লিগ বা সেলিব্রিটি টুর্নামেন্টের জন্য মাঠগুলো আর ব্যবহার করা যাবে না।
এবার আরও কিছু নতুন নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। প্রথমত, অনুশীলনের জন্য প্রতিটি দল পাবে দুটি করে নেট। সাইড উইকেটে আরো একটি নেট দেওয়া হবে, যেখানে শুধু বড় শটের অনুশীলন করা যাবে। যদি মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে দুটি দল একসাথে অনুশীলন করে, তবে তাদের দুই দলকে তিনটির বদলে দুটি নেট দেওয়া হবে। তবে, কোনো অবস্থাতেই খোলা নেটে অনুশীলন করা যাবে না।
যদি কোনো দল আগে অনুশীলন শেষ করে, পরবর্তীতে অন্য দল সেই দলের ব্যবহৃত নেটে অনুশীলন করতে পারবে না। নির্দিষ্ট নেটেই তাদের অনুশীলন করতে হবে। ম্যাচের দিন কোনো দলই অনুশীলন করতে পারবে না। এছাড়া, ম্যাচের দিন মাঝের উইকেটে কোনো ফিটনেস পরীক্ষা করা যাবে না।
বোর্ডের দেওয়া পরিচয়পত্রধারী ব্যক্তিরাই অনুশীলনের সময় ড্রেসিংরুম এবং মাঠে প্রবেশ করতে পারবেন। ক্রিকেটারদের পরিবার ও বন্ধুরা অন্য গাড়িতে মাঠে এসে নির্দিষ্ট জায়গায় বসে অনুশীলন দেখতে পারবেন। যদি কোনো দল অতিরিক্ত থ্রো-ডাউন বিশেষজ্ঞ বা নেট বোলার চায়, তাদের অবশ্যই তালিকা জমা দিয়ে বোর্ডের অনুমতি নিতে হবে।
প্রত্যেক ক্রিকেটারকে অনুশীলনে টিম বাসে করে যেতে হবে। দল চাইলে দুইটি বাসে ক্রিকেটারদের যাতায়াতের ব্যবস্থা করতে পারে। অনুশীলন সংক্রান্ত কোনো অনুরোধ বা ম্যাচের দিন ফিটনেস পরীক্ষা করতে চাইলে, মাঠে উপস্থিত ম্যানেজারের কাছ থেকে লিখিত অনুমতি নিতে হবে।
ম্যাচের দিন বোর্ডের দেওয়া পরিচয়পত্র নিয়ে সবাইকে মাঠে যেতে হবে। যদি কোনো দলের কেউ পরিচয়পত্র নিয়ে যেতে ভুলে যায়, প্রথমবার তাকে সতর্ক করা হবে। দ্বিতীয়বার একই ভুল হলে সেই দলকে জরিমানা করা হবে। কমলা ও বেগুনি টুপির প্রাপকদের সেই টুপি পরেই খেলতে হবে। যদি কোনো ক্রিকেটার পুরো ম্যাচে টুপি পরতে না চান, তবে তাকে অন্তত প্রথম দু’ওভার কমলা বা গোলাপি টুপি পরতে হবে। সেই সময়ের মধ্যে তাদের সম্প্রচারকারী চ্যানেলে দেখানো হবে।
খেলা শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে হাতকাটা জার্সি পরা যাবে না। কোনো ক্রিকেটার এমন করলে, প্রথমবার তাকে সতর্ক করা হবে এবং দ্বিতীয়বার আর্থিক জরিমানা হবে। ম্যাচের সময় কোনো দলে ১২ জনের বেশি সাপোর্ট স্টাফ থাকতে পারবে না, এবং প্রত্যেকের কাছে বোর্ডের দেওয়া পরিচয়পত্র থাকতে হবে। এই ১২ জনের দলে একজন চিকিৎসক থাকতে পারবে। এছাড়া, যদি কেউ নিজের জার্সি নম্বর পরিবর্তন করতে চান, তাহলে ম্যাচের ২৪ ঘণ্টা আগে তা বোর্ডকে জানাতে হবে।
এদিকে, এবারের আইপিএল শুরু হবে ২২ মার্চ। প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি হবে গতবারের চ্যাম্পিয়ন কলকাতা নাইট রাইডার্স এবং রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। কলকাতা এবং চেন্নাই ইতোমধ্যে তাদের প্রস্তুতি শিবির শুরু করেছে। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি শেষে ভারতীয় দল এবং বিদেশি ক্রিকেটাররা দলগুলোর সঙ্গে যোগ দেবেন।
সুপ্তি / টিডিএস