প্রথমার্ধেই তিন গোল হয়ে গিয়েছিল। টটেনহামের বিপক্ষে লিগ শিরোপা নিশ্চিত করতে লিভারপুলের প্রয়োজন ছিল শুধু একটি ড্র। কিন্তু প্রথম ৪৫ মিনিটে দুর্দান্ত ফুটবল উপহার দিয়ে অলরেডরা এগিয়ে যায় ৩-১ গোলে। তখন ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের শিরোপা থেকে লিভারপুলের দূরত্ব ছিল মাত্র ৪৫ মিনিট।
তবে এই উত্তেজনার মাঝেও অপেক্ষা ছিল এক বিশেষ মুহূর্তের—মোহাম্মদ সালাহর গোল। পুরো মৌসুমে দুর্দান্ত খেললেও টানা চার ম্যাচ ধরে গোল পাচ্ছিলেন না তিনি। অথচ লিভারপুলকে শিরোপার দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে তার ভূমিকাই ছিল বড়। কোডি গাকপো পর্যন্ত একবার নিজের সুযোগ ছেড়ে দিয়েছিলেন সালাহকে, কিন্তু সেখান থেকেও গোল আসেনি।
অবশেষে ৬৪ মিনিটে সেই কাঙ্ক্ষিত গোল আসে। ডি-বক্সের ভেতর বল পেয়ে বাঁ পায়ের চেনা ভঙ্গিমায় দুর্দান্ত এক গোল করেন সালাহ। সেই গোল শুধু লিভারপুল সমর্থকদের আনন্দে ভাসায়নি, সালাহকেও এনে দিয়েছে নতুন রেকর্ড।
টটেনহামের বিপক্ষে গোলের মাধ্যমে সালাহ প্রিমিয়ার লিগে বিদেশি খেলোয়াড়দের মধ্যে সর্বোচ্চ গোলদাতার (১৮৫ গোল) রেকর্ড গড়ে পেছনে ফেলেছেন সার্জিও আগুয়েরোকে। আগুয়েরো ম্যানচেস্টার সিটির হয়ে ২৭৫ ম্যাচে করেছিলেন ১৮৪ গোল, আর সালাহ করেছেন ২৯৭ ম্যাচে ১৮৫টি, যার মধ্যে ২টি চেলসির হয়ে।
এতেই শেষ নয়। প্রিমিয়ার লিগে গোল ও অ্যাসিস্ট মিলিয়ে সালাহ এখন সরাসরি ২৭২ গোলে অবদান রেখেছেন, পেছনে ফেলেছেন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড কিংবদন্তি রায়ান গিগসকে (২৭১)।
গোলের তালিকায়ও সালাহ এগোচ্ছেন দ্রুত। বর্তমানে তিনি প্রিমিয়ার লিগের সর্বোচ্চ গোলদাতার তালিকায় ৫ নম্বরে আছেন। তার ওপরে রয়েছেন অ্যান্ডি কোল (১৮৭ গোল)। এ মৌসুমেই কোলকে টপকে যাওয়ার সুযোগ রয়েছে তার সামনে। এরপর লক্ষ্যে থাকবেন ওয়েইন রুনি (২০৮), হ্যারি কেইন (২১৩) এবং সর্বোচ্চ গোলদাতা অ্যালান শিয়ারার (২৬০)।
সব মিলিয়ে এই মৌসুমে সালাহ এখন পর্যন্ত ২৮ গোল এবং ১৮টি অ্যাসিস্টসহ ৪৬ গোলে সরাসরি অবদান রেখেছেন—প্রিমিয়ার লিগের ৩৮ ম্যাচের মৌসুমে যা একজন ফুটবলারের জন্য সর্বোচ্চ।