আপাদমস্তক ক্রিকেট রক্তেই গড়া বেন কারান। তার দুই ভাই—স্যাম ও টম কারান ইংল্যান্ড জাতীয় দলে খেলছেন। সুযোগ ছিল বেনেরও সেই পথেই হাঁটার। কিন্তু তিনি বেছে নিয়েছেন নিজের শিকড় পিতৃভূমি জিম্বাবুয়েকে। ক্রিকেট তার রক্তে—দাদা প্যাট্রিক কারান খেলেছেন প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট আর বাবা কেভিন কারান ছিলেন জিম্বাবুয়ের জাতীয় দলের ক্রিকেটার। এবার সেই পথেই হেঁটেছেন বেন গায়ে তুলেছেন রোডেশিয়ানদের জার্সি।
বর্তমানে বাংলাদেশের বিপক্ষে চলমান টেস্ট সিরিজে খেলছেন বেন কারান। এই অভিজ্ঞতাকে দারুণ গর্বের বলেই মনে করেন তিনি। শনিবার (২৬ এপ্রিল) চট্টগ্রামে সংবাদ সম্মেলনে এসে বেন বলেন, ‘পরিবেশ, পরিস্থিতি আমাকে ইংল্যান্ডে নিয়ে গিয়েছিল। সেখানে কিছু বছর খেলে আবার জিম্বাবুয়ের হয়ে খেলার জন্য ফিরে এসেছি। যা আমার জন্য দারুণ সম্মানের ব্যাপার এবং আমি আমার খেলাটাকে দারুণ উপভোগ করছি।’
বেনের জন্ম ইংল্যান্ডের নর্দাম্পটনে যেখানে তার বাবা কাউন্টি ক্লাবের হয়ে খেলতে গিয়ে বসতি গড়েছিলেন। সেখানেই বেনের বেড়ে ওঠা ও ক্রিকেটের হাতেখড়ি। ঘরোয়া ক্রিকেটে পারফর্ম করলেও ইংল্যান্ড জাতীয় দলে ডাক পাননি। অন্যদিকে তার ভাইয়েরা—টম ও স্যাম—ইংল্যান্ডের জার্সিতে সফল। আর বেন এখন দেশের প্রতিনিধিত্ব করছেন জিম্বাবুয়ের হয়ে।
বাংলাদেশের মাটিতে প্রথমবার খেলতে নেমেই সাফল্যের স্বাদ পেয়েছেন বেন কারান। ৪ বছর পর জিম্বাবুয়ের টেস্ট জয় এবং বাংলাদেশের বিপক্ষে সাত বছর পর জয় এসেছে তার অভিষেকেই। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘জিম্বাবুয়ের হয়ে খেলাটা দারুণ অনুভূতির ব্যাপার। মাঝেমধ্যে আপনি জিতবেন। চেষ্টা করে যেতে হবে যত বেশি ম্যাচ জিততে পারি এবং জিম্বাবুয়েকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি।’
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে মানিয়ে নেওয়ার চ্যালেঞ্জ নিয়েছেন বেন। এই যাত্রায় তারকা সতীর্থ শন উইলিয়ামস এবং ক্রেইগ আরভাইন পাশে আছেন বলেই জানিয়েছেন তিনি, ‘তারা অনেক (পরামর্শ দেন), অবশ্যই (এগুলো কাজে দেয়)। আমি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নতুন। ফলে তারা চেষ্টা করছে আমার সঙ্গে যতটা অভিজ্ঞতা বিনিময় করা যায়। শন এবং ক্রেইগ আমাকে সাহায্য করছে যেন আমি আন্তর্জাতিক মঞ্চে দ্রুত উন্নতি করে এগিয়ে যেতে পারি।’
ইউএ / টিডিএস
