জ্যাকসন রদ্রিগেসের বাড়িতে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেছে। এই হামলার সময় ইকুয়েডরের জাতীয় দলের এই ফুটবলারের স্ত্রী ও সন্তানকে অপহরণ করে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। ঘটনার সময় নিজ বাড়িতেই ছিলেন রদ্রিগেস, তবে বিছানার নিচে লুকিয়ে থাকায় অল্পের জন্য রক্ষা পান তিনি।
ঘটনাটি ঘটে বুধবার ভোররাতে, ইকুয়েডরের গায়াকুয়িল শহরে। রাত আনুমানিক তিনটার দিকে সন্ত্রাসীরা তার বাড়ির সামনের দরজা ভেঙে ভেতরে ঢোকে। শহরের পুলিশ প্রধান এদিসন রদ্রিগেস বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
২৬ বছর বয়সী এই ডিফেন্ডার জানান, দরজা ভাঙার শব্দ পেয়ে তিনি দ্রুত বিছানার নিচে লুকিয়ে পড়েন। বাড়িতে ঢুকে সন্ত্রাসীরা তাকে খোঁজ করে, কিন্তু না পেয়ে তার স্ত্রী ও সন্তানকে জোরপূর্বক নিয়ে যায়।
ইকুয়েডরের নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে আগেই উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন অনেক বাসিন্দা। মাত্র এক সপ্তাহ আগেই দেশটির ৯টি অঞ্চলে জরুরি অবস্থা জারি করে সরকার, যার মধ্যে গায়াকুয়িল অন্যতম।
চলতি বছরের শুরু থেকেই সন্ত্রাসী কার্যক্রম বাড়তে থাকে। জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত সময়েই দেশজুড়ে সহিংস ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন ২,৩৪৫ জন। এর মধ্যে শুধু গায়াকুয়িলেই নিহত হয়েছেন ৭৪২ জন, যা রাজধানী কিটো থেকে প্রায় ১৬৮ মাইল দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থিত।
এই ঘটনার পর দেশজুড়ে নিরাপত্তা আরও জোরদারের দাবি উঠছে।