আইপিএল মাতাচ্ছেন ছেঁড়া জুতা পরে খেলা অনিকেত

স্পোর্টস ডেস্ক

হার্দিকের গল্প যেমন অনেকের জন্য অনুপ্রেরণা তেমনি এবারের আইপিএলে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের হয়ে খেলা অনিকেত বর্মার গল্পও কম নয়।

শৈশব কাটিয়েছেন চাচা অমিত বর্মার কাছে। আর সেই চাচাই এবার শোনালেন অনিকেতের ক্রিকেটার হয়ে ওঠার সংগ্রামী পথের গল্প। তিন বছর বয়সে মাকে হারানোর পর থেকে চাচা অমিতই অনিকেতকে লালন পালন করেছেন।

এক সাক্ষাৎকারে অমিত বলেছেন, ‘অনিকেতের বয়স তখন ১৪ বছর। তখন ওকে একটা ক্রিকেট অ্যাকাডেমিতে ভর্তি করে দিয়েছিলাম। পরিশ্রম করে ক্লান্ত হয়ে পড়ত।’

তার চাচা বলেন, ‘সে সময় সংবাদপত্রের প্রতিবেদন থেকে দিনের পর দিন হার্দিকের ম্যাগি (নুডলস) খেয়ে থাকার বিষয়টা জানতে পেরেছিলাম। তখন অনিকেতকে গল্পটা বলেছিলাম। ও খুব অনুপ্রাণিত হয়েছিল। তার পর থেকে ওর মধ্যে একটা বাড়তি অনুপ্রেরণা দেখতাম। বড় খেলোয়াড় হওয়ার ইচ্ছা তৈরি হয় অনিকেতের মধ্যে।’

‘ক্রিকেটের জন্য প্রচুর পরিশ্রম করেছে। এক দিন মাঠে পৌঁছে আমার পা ছুঁয়ে বলে, ‘আমি অনেক কিছু নিয়ে অভিযোগ করি না?’ আমি হেসে ফেলেছিলাম। কিন্তু অনিকেতের মুখে একটা জেদ দেখেছিলাম।’

অমিত বলেছেন, ‘আমার প্রথম চাকরি ছিল একটা গাড়ির দোকানে। তিন হাজার টাকা বেতন পেতাম। তখন অনিকেত একটা ছেঁড়া জুতা পরে খেলত। আমাদের আর্থিক অবস্থা ভালো ছিল না। তবু ওকে দোকানে নিয়ে গিয়ে ১২০০ টাকার দিয়ে একটা জুতা কিনে দিয়েছিলাম। তার পর থেকে রোজ নতুন জুতা জোড়া নিয়ে ঘুমাতো অনিকেত।’

ছেঁড়া জুতা পরে খেলেও অনিকেত বর্মা আজ আইপিএলের অন্যতম সেরা উদীয়মান তারকা। হায়দরাবাদের হয়ে দিল্লি ক্যাপিটালসের বিপক্ষে দুর্দান্ত ব্যাটিং করেছেন তিনি। মাত্র ৪১ বলে খেলেছেন ৭৪ রানের ঝড়ো ইনিংস। নিলামে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ তাকে দলে নেয় মাত্র ৩০ লাখ রুপিতে।

ইউএ / টিডিএস

You may also like