কানাঘুষা শুরু হয়েছিল আর্জেন্টিনা ম্যাচের পর থেকেই। পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ব্রাজিল এর আগে কখনোই বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে ৪ গোল হজম করেনি, কিন্তু আর্জেন্টিনার মাটিতে তাদেরই সেই লজ্জা সইতে হলো। এর আগেই দুর্বল পারফরম্যান্সের কারণে দরিভাল জুনিয়র ব্রাজিল ফুটবল ফেডারেশন ও ভক্তদের কাছে সমালোচিত হয়েছিলেন।
ফলস্বরূপ, এক সপ্তাহের মধ্যেই পরিবর্তন চলে এলো। ২০২৬ বিশ্বকাপে ব্রাজিলকে ফাইনালে নিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেও, নিজের দায়িত্ব ঠিকভাবে পালন করতে পারেননি দরিভাল। এর কারণেই শেষ পর্যন্ত তার কোচিং অধ্যায় সমাপ্ত হল।
৬২ বছর বয়সী দরিভাল ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে ব্রাজিল দলের কোচ হিসেবে দায়িত্ব নেন। এর আগে তিনি প্রায় ২৭টি ব্রাজিলিয়ান ক্লাবে কোচিং করিয়েছেন। তার প্রথম ম্যাচ ছিল ইংল্যান্ডের বিপক্ষে, যেখানে ব্রাজিল ১-০ গোলে জয়ী হয়েছিল। পরবর্তী ম্যাচে স্পেনের সঙ্গে ৩-৩ ড্র করে তিনি জনপ্রিয়তা অর্জন করেন, তবে এর পরেই বাস্তবতার মুখোমুখি হন।
কোপা আমেরিকার কোয়ার্টার ফাইনালে বিদায়, ১৬ বছরে প্রথমবার প্যারাগুয়ের কাছে পরাজয়, এবং ইতিহাসে প্রথমবার হোম এবং অ্যাওয়ে ম্যাচে আর্জেন্টিনার কাছে হার—এসবেই দরিভালের কোচিংয়ে ব্রাজিলের সাফল্য ছিল খুবই কম। তার অধীনে ১৬ ম্যাচের মধ্যে ৭টি জয়, ৬টি ড্র এবং ৩টি হার ছিল।
সিবিএফ তাদের বিবৃতিতে দরিভালকে ধন্যবাদ জানিয়ে জানিয়েছে, “ব্রাজিল ফুটবল ফেডারেশন ঘোষণা করছে যে, কোচ দরিভাল জুনিয়র আর ব্রাজিল জাতীয় দলের দায়িত্বে থাকবেন না। ম্যানেজমেন্ট তাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছে এবং তার ভবিষ্যৎ ক্যারিয়ারের জন্য শুভকামনা জানাচ্ছে। এখন সিবিএফ তার বিকল্প খুঁজে বের করার কাজ শুরু করবে।”
২০২২ বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে ব্রাজিলের বিদায়ের পর তিতে কোচের পদ ছেড়ে দেন, যিনি প্রায় ৬ বছর দায়িত্বে ছিলেন। এরপর রামোন মেনেজেস পাঁচ মাস এবং ফার্নান্দো দিনিজ ছয় মাস দায়িত্ব পালন করেন, এবং অবশেষে দরিভাল ১৪ মাস কোচের দায়িত্বে ছিলেন।