দুর্নীতির মামলায় নির্দোষ প্রমাণিত হলেন ফিফার সাবেক প্রেসিডেন্ট সেপ ব্লাটার ও উয়েফার সাবেক সভাপতি মিশেল প্লাতিনি।
মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) সুইজারল্যান্ডের একটি আদালত ব্লাটার ও প্লাতিনির বিরুদ্ধে নতুন শাস্তির আপিল খারিজ করে তাদের দুর্নীতি, জালিয়াতি এবং ঘুস কেলেঙ্কারির অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেয়। ২০১১ সালে প্লাতিনি একটি কাজের পারিশ্রমিক হিসেবে ফিফার কাছ থেকে ১৮ লাখ ইউরো গ্রহণ করেছিলেন।
২০১৫ সালে ওই লেনদেনকে ঘুস সন্দেহে মামলা হয় যার ফলে ব্লাটার ফিফার সভাপতির পদ ছাড়তে বাধ্য হন এবং প্লাতিনি উয়েফা ছাড়েন। তার ফিফা সভাপতি হওয়ার স্বপ্নও শেষ হয়ে যায়। দু’জনই দুর্নীতির অভিযোগে দীর্ঘমেয়াদী নিষেধাজ্ঞার শিকার হন ফুটবলে।
নিষেধাজ্ঞা শেষে ২০২২ সালে তারা দুর্নীতির মামলায় আদালত থেকে খালাস পান। সুইস প্রসিকিউটররা আদালতের সিদ্ধান্তে আপিল করায় নতুন করে শুনানি শুরু হয়। তারা দু’জনের বিরুদ্ধেই ২০ মাসের স্থগিত কারাদণ্ডের আবেদন করেছিলেন। কিন্তু দীর্ঘ শুনানি শেষে সুইস ক্রিমিনাল কোর্টের এক্সট্রাঅর্ডিনারি আপিল চেম্বার ব্লাটার ও প্লাতিনিকে সব অভিযোগ থেকে খালাস দেয়।
মামলা নিষ্পত্তির পর প্লাতিনি স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেন। তিনি বলেন, “১০ বছর ধরে ফিফা এবং কিছু সুইস ফেডারেল প্রসিকিউটরের নিপীড়ন এখন শেষ হয়েছে। আমার সম্মান আজ ফিরে এসেছে এবং আমি খুব খুশি।” সুইস কর্তৃপক্ষ যেসব অর্থ বাজেয়াপ্ত করেছিল, তা এখন ফিরিয়ে দেওয়া হবে।
রায় ঘোষণার পর, ব্লাটার মলিন চেহারায় তার মেয়েকে আলিঙ্গন করেন। পরে তিনি সাংবাদিকদের জানান, “এটা আমার জন্য বড় স্বস্তি। কারণ দশ বছর ধরে এটা চলছে… এখন এটা শেষ হয়েছে এবং আমি শ্বাস নিতে পারছি।”
সুইস অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয় জানিয়েছে, তারা লিখিত রায়টি পর্যালোচনা করে দেখবে এবং পরে সিদ্ধান্ত নেবে, সুইস ফেডারেল কোর্টে পুনরায় আপিল করবে কিনা।
ইউএ / টিডিএস
