পেলে-ম্যারাডোনার স্মৃতিবিজড়িত স্টেডিয়ামের নাম বদল

স্পোর্টস ডেস্ক

মেক্সিকোর আজতেকা স্টেডিয়াম, যা ফিফা বিশ্বকাপের দুটি ফাইনাল অনুষ্ঠিত হওয়ার জন্য পরিচিত, এখন একটি নতুন নামে পরিচিত—বানোর্ত স্টেডিয়াম। এটি প্রথম এবং একমাত্র স্টেডিয়াম যেখানে পেলে ও ম্যারাডোনা, দুই ফুটবল কিংবদন্তি বিশ্বকাপ জিতেছেন। এখন, স্টেডিয়ামের পুরনো নাম মুছে ফেলে, মেক্সিকোর অন্যতম প্রভাবশালী ব্যাংক ‘বানোর্ত’ এর নামে নামকরণ করা হয়েছে।

কেন এই নামের পরিবর্তন? ৮৭ হাজার ৫০০ আসনবিশিষ্ট এই স্টেডিয়ামের মালিকানা মেক্সিকোর ওলামানি গ্রুপের, যারা বানোর্ত ব্যাংক থেকে ১০৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের ঋণ নিয়েছে, যা ১২ বছরে পরিশোধযোগ্য। এই ঋণ চুক্তির শর্ত হিসেবে, স্টেডিয়ামের নাম রাখা হয়েছে ব্যাংকটির নামে। ওলামানি গ্রুপের মালিক আজকারাগা জিন জানিয়েছেন, স্টেডিয়ামটি আধুনিকায়ন করা হবে, তবে তার ঐতিহ্য এবং স্থাপত্যশৈলী অপরিবর্তিত রাখা হবে। তিনি বলেন, “বানোর্তের সঙ্গে আমরা এই ঐতিহাসিক স্টেডিয়ামটি আধুনিকায়ন করব এবং মেক্সিকোকে এটি বিশ্বদরবারে উপস্থাপনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভেন্যু হিসেবে গড়ে তুলব।”

আজতেকা স্টেডিয়ামে পেলে ও ম্যারাডোনার স্মৃতিতে ভরা বহু ঐতিহাসিক মুহূর্ত রয়েছে। ১৯৭০ সালে পেলে তৃতীয়বারের মতো ব্রাজিলকে বিশ্বকাপ জিতিয়েছিলেন এই মাঠে, যেখানে ফাইনালে ইতালির বিপক্ষে ব্রাজিলের ৪-১ গোলের জয় ছিল পেলের অসাধারণ অবদান। এছাড়া, ১৯৮৬ বিশ্বকাপে ম্যারাডোনার ‘হ্যান্ড অব গড’ এবং ‘গোল অব দ্য সেঞ্চুরি’ আজতেকা স্টেডিয়ামে হয়েছিল। পরে ফাইনালে তিনি আর্জেন্টিনাকে পশ্চিম জার্মানির বিপক্ষে ৩-১ গোলের ব্যবধানে জয় এনে দেন এবং গোল্ডেন বল অর্জন করেন।

২০২৩ সালের মে মাস থেকে স্টেডিয়ামটি সংস্কারের জন্য বন্ধ ছিল, তবে আজকারাগা জানিয়েছেন যে এই সংস্কার কাজ চলতি বছরের শেষের আগেই সম্পন্ন হবে। সংস্কারের বিস্তারিত পরিকল্পনা এখনও প্রকাশিত হয়নি, তবে প্রাথমিকভাবে শপিং সেন্টার এবং হোটেল নির্মাণের পরিকল্পনা ছিল। তবে মেক্সিকো সিটির সান্তা উরসুলা এলাকার বাসিন্দারা এই প্রকল্পের বিরোধিতা করেছেন। সম্প্রতি প্রকাশিত কিছু ছবিতে দেখা গেছে যে মাঠ ও আসনগুলোর সংস্কার কাজ চলছে।

সব সংস্কার শেষে, বানোর্ত স্টেডিয়াম বিশ্বব্যাপী নতুনভাবে পরিচিত হবে। ২০২৬ সালের ফিফা বিশ্বকাপে পাঁচটি ম্যাচ এই স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে, যার মধ্যে দুটি ম্যাচ হবে শেষ ষোলোর এবং দুটি ম্যাচ হবে শেষ ত্রিশের।

You may also like