বুমরাকে নিয়ে বিসিসিআইকে সতর্ক করেছেন সাবেক গতি তারকা বন্ড।
গত বছরের মার্চে পিঠের চোটে অস্ত্রোপচার করতে হয়েছিল যশপ্রীত বুমরাকে। একই জায়গায় আরেকটি চোট বুমরার ক্যারিয়ার শেষ করে দিতে পারে, এমনটাই মনে করেন নিউজিল্যান্ডের সাবেক পেসার শেন বন্ড। কিউই পেসারের নিজের ক্যারিয়ারও পিঠের চোটের কারণে শেষ হয়েছিল।
অস্ত্রোপচারের পর এবারই প্রথম পিঠের চোটে পড়েছেন বুমরা। সামনে একই জায়গায় যেন বুমরা আবার চোটে না পড়েন, সে কারণে তাঁর ওয়ার্কলোড ম্যানেজমেন্টকে বাড়তি গুরুত্ব দিতে বলেছেন বন্ড।
ইএসপিএন ক্রিকইনফোকে বন্ড বলেছেন, ‘যখন বুমরা সিডনিতে স্ক্যানের জন্য মাঠ ছাড়ল তখন জানানো হলো যে ওর পিঠে টান লেগেছে। আমি তখনই ভেবেছিলাম, এটি শুধুই মচকে যাওয়া নয় বরং তার পিঠের হাড়ে কোনো গুরুতর সমস্যা হতে পারে। তখনই আমি বুঝতে পেরেছিলাম তেমন কিছু হলে ও চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে খেলতে পারবে না।’
টেস্ট ও টি-টোয়েন্টির বোলিংয়ের পার্থক্য তুলে ধরে বন্ড বলেছেন, ‘আমি মনে করি বুমরা ঠিকই থাকবে। তবে তার ওয়ার্ক লোড ঠিকভাবে ম্যানেজ করতে হবে। যেকোনো সময় টি-টোয়েন্টি থেকে সরাসরি টেস্ট খেলা কঠিন। একদিনের ক্রিকেটে সেটা তুলনামূলক সহজ। কারণ আপনি সপ্তাহে তিনটি ম্যাচ খেলবেন, অনুশীলন করবেন, যেখানে ৪০ ওভারের আশপাশে বোলিং হবে যা মোটামুটি টেস্ট ম্যাচের কাছাকাছি। কিন্তু টি-টোয়েন্টিতে বিশেষ করে আইপিএলে আপনি যদি সপ্তাহে তিনটি ম্যাচ খেলেন তাহলে দুই দিন ভ্রমণ, এক দিন মাত্র অনুশীলন এবং হয়তো ২০ ওভার বোলিং করবেন যা টেস্ট ম্যাচের মাত্র অর্ধেকেরও কম। তা ছাড়া টি-টোয়েন্টিতে টানা দুই দিন বোলিং করতে হয় না কিন্তু টেস্টে সেটা করতে হয়। তাই এই পরিবর্তন বিশাল এক চ্যালেঞ্জ।’
ইংল্যান্ড সিরিজে বুমরাকে টানা দুটি টেস্টের বেশি মাঠে দেখতে চান না বন্ড, ‘বুমরা ভারতের পরবর্তী বিশ্বকাপের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই ইংল্যান্ড সিরিজে আমি চাইব না বুমরা টানা দুটির বেশি ম্যাচ খেলুক। আইপিএল থেকে সরাসরি টেস্ট ম্যাচে খেলা বড় ঝুঁকির। তাই কীভাবে তাকে সামলানো হবে সেটাই মূল ব্যাপার।’
ইউএ / টিডিএস