প্রায় ভুলতে বসা ‘ত্রিদেশীয় ওয়ানডে সিরিজ’ ৬ বছর পর চ্যাম্পিয়নস ট্রফির প্রস্তুতিমূলক টুর্নামেন্টে ফিরছে।
শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) আট দলের বৈশ্বিক টুর্নামেন্টের আগে মূল আয়োজক পাকিস্তানে শুরু হচ্ছে ত্রিদেশীয় এক ওয়ানডে টুর্নামেন্ট। পাকিস্তান ছাড়াও টুর্নামেন্টে আছে নিউজিল্যান্ড ও দক্ষিণ আফ্রিকা।
২০১৯ বিশ্বকাপের আগে আয়ারল্যান্ডে যে ত্রিদেশীয় সিরিজ হয়েছিল সেটিই ছিল সর্বশেষ। বাংলাদেশের জন্য সেটা ছিল খুবই স্মরণীয়। কারণ তারা ফাইনালে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়ে শিরোপা জিতেছিল। ওয়ানডেতে বাংলাদেশের পুরুষ দলের নামের পাশে ‘চ্যাম্পিয়ন’ শব্দটা সেই একবারই বসেছে।
এরপর টি-টোয়েন্টির উত্থানে প্রায় হারিয়ে গিয়েছিল এই ধরণের ত্রিদেশীয় সিরিজ। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি, আইপিএল এবং অন্যান্য লিগের কারণে অনেক দেশের ফোকাস টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে চলে গেছে। কিন্তু এখন চ্যাম্পিয়নস ট্রফির আগে আবার ত্রিদেশীয় সিরিজ ফিরে আসা অনেকটা সেই পুরানো অনুভূতিকে পুনরুজ্জীবিত করেছে। এই ধরনের সিরিজের বিশেষত্ব হলো একদিকে ত্রিদেশীয় প্রতিদ্বন্দ্বিতা, অন্যদিকে দুইটি ভালো দল একে অপরের বিরুদ্ধে খেলবে যা দেখতে বেশ আকর্ষণীয়।
একসময় তিন দলের ওয়ানডে সিরিজ ছিল খুবই জনপ্রিয়। বিশেষ করে অস্ট্রেলিয়া এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতে নিয়মিত এই ধরনের টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হতো। এসব সিরিজ ছিল ওয়ানডে ক্রিকেটের একটি বড় দিক যেখানে বড় দলগুলো একে অপরের সাথে খেলতে এসে নিজেদের কৌশল এবং সামর্থ্য পরীক্ষা করতে পারত।
অস্ট্রেলিয়া এবং আমিরাতের মধ্যে ৫৫টি ত্রিদেশীয় সিরিজের আয়োজন হয়েছে। এর মধ্যে অস্ট্রেলিয়ায় ৩১টি এবং আমিরাতে ২৪টি। সাতবার ত্রিদেশীয় টুর্নামেন্ট হয়েছে তিনটি দেশে—বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও ইংল্যান্ড। বাংলাদেশে প্রথম ত্রিদেশীয় টুর্নামেন্ট হয়েছে ১৯৯৮ সালে ইনডিপেনডেন্স কাপ।
ইউএ / টিডিএস