এক বুক স্বপ্ন নিয়ে প্যারিস সেইন্ট-জামেই (পিএসজি) ছেড়ে রিয়াল মাদ্রিদে পা রেখেছিলেন কিলিয়ান এমবাপে। তার লক্ষ্য ছিল গোলের ঝড় তুলে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ট্রফি ও ব্যালন ডি’অর জয়। আর সেই লক্ষ্য অর্জনের পথে প্রথম হ্যাটট্রিকটি তুলে নিয়েছেন এমবাপে।
শনিবার (২৫ জানুয়ারি) লা লিগায় ফরাসি এই তারকা তার হ্যাটট্রিকের মাধ্যমে রিয়াল ভায়োদোলিদকে ৩-০ ব্যবধানে হারিয়ে দিয়েছেন।
এই দুর্দান্ত জয়ের মাধ্যমে পয়েন্টের ব্যবধান আরো বাড়িয়ে নিয়েছে রিয়াল। তারা এখন অ্যাথলেটিকো মাদ্রিদ থেকে ৪ পয়েন্ট এগিয়ে টেবিলের শীর্ষে অবস্থান করছে।
এখন পর্যন্ত ২১ ম্যাচে রিয়ালের পয়েন্ট ৪৯, অ্যাথলেটিকোর পয়েন্ট ৪৫, আর বার্সেলোনা ৩৯ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে। অন্যদিকে, ভায়োদোলিদ ২১ ম্যাচে ১৫ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের তলানিতে রয়েছে।
শনিবার রাতে হোস জোরিলা স্টেডিয়ামে ৩০ মিনিটে প্রথম গোলটি করেন এমবাপে। জুড বেলিংহ্যামের সঙ্গে বল আদান-প্রদান করে ডি-বক্সে প্রবেশ করেন তিনি এবং ডান পায়ের শক্তিশালী শটে ভায়োদোলিদের জাল কাঁপান।
এমবাপে দ্বিতীয় গোলটি করেন ৫৭ মিনিটে। রিয়াল মাদ্রিদ কাউন্টার অ্যাটাকের সময় রদ্রিগো বল পেয়ে এমবাপেকে পাস দেন। পেনাল্টি বক্সের বাঁ পাশ থেকে দুর্দান্ত শটে গোলটি সম্পন্ন করেন এমবাপে, যেটি ভায়োদোলিদের গোলরক্ষককে পরাস্ত করে।
শেষ গোলটি হয় পেনাল্টিতে, ৯০ মিনিটে। ডি-বক্সের ভেতর রিয়ালের জুড বেলিংহ্যামকে ট্যাকল দেন ভায়োদোলিদের ফুটবলার মারিও মার্টিন। পেনাল্টির সিদ্ধান্ত দেওয়ার আগে ভিএআরের সহায়তা নেন রেফারি। পরিস্থিতি গভীর পর্যবেক্ষণের পর ফাউলের সঙ্গে মার্টিনকে লাল কার্ডও দেখান। এতে ১০ জনের দলে পরিণত হয় স্বাগতিক ভায়োদোলিদ।
স্পটকিকে বরাবরের মতোই সফল হন এমবাপে। এতে রিয়াল এগিয়ে যায় ৩-০ গোলে। শেষ বাঁশির আগে আরও কোনো গোল হয়নি।
ম্যাচ শেষে ‘রিয়াল মাদ্রিদ টিভিকে এমবাপে বলেন, ‘হ্যাটট্রিকের জন্য খুশি। তবে জয়ের জন্য আরও বেশি খুশি, আমি প্রতি সপ্তাহে বলি। তবে অ্যাথলেটিকোর বিপক্ষে ড্রয়ের পরে আজকের জয়টা গুরুত্বপূর্ণ ছিল।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের ভালো খেলতে হবে। আমরা দলগত প্রচেষ্টায় প্রথম গোলটি করেছি। দ্বিতীয়ার্ধে আমরা আরও ভালো খেলতে পারতাম। তবে আমরা দ্বিতীয় গোল করেছি। (খেলা) ভালোভাবে পরিচালনা করেছি এবং তৃতীয় গোল করেছি।’
সুপ্তি / টিডিএস