চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ইংল্যান্ড-আফগানিস্তানের ম্যাচটি দুই দলের জন্যই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ সময় দুপুর ৩টায় লাহোরে শুরু হবে আফগানদের সঙ্গে ইংলিশদের লড়াই। জয় মানেই সেমি-ফাইনালের স্বপ্ন টিকে থাকবে। আর পরাজয় মানেই বিদায়! দুই দলের জন্যই এটি মাত্র দ্বিতীয় ম্যাচ। প্রথম ম্যাচে দু’দলই হেরেছে। তবে অন্যান্য ম্যাচের ফলাফলের কারণে এই ম্যাচটি এখন কার্যত নকআউট পরিণত হয়েছে।
দুই দলের সবশেষ ম্যাচটি আফগানিস্তানের জন্য সুখময় এক স্মৃতি। ২০২৩ বিশ্বকাপে দিল্লিতে ইংলিশদের ৬৯ রানে হারিয়েছিল শাহিদির দল। সেই ম্যাচকে এবার প্রেরণা মানছেন আফগান অধিনায়ক।
আফগান অধিনায়ক বলেন, “২০২৩ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ভালো একটি ম্যাচ ছিল আমাদের এবং আমরা তাদেরকে হারিয়েছিলাম। সেই আত্মবিশ্বাস এবারও আমাদের সঙ্গী। তবে সেই ম্যাচটি এখন অতীত। নতুন ভাবনা ও পরিকল্পনা নিয়ে মাঠে নামতে হবে আমাদের।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা জানি, ইংল্যান্ড বিশ্বের সেরা দলগুলোর একটি। আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জটি তাই কঠিন। তবে যে কোনো চ্যালেঞ্জের জন্য আমরা প্রস্তত। এই পর্যায়ে আসতে কঠোর পরিশ্রম করতে হয়েছে আমাদের। ইতিবাচক মানসিকতা নিয়ে প্রতিটি ম্যাচ খেলতে আমরা প্রস্তুত। ২০২৩ বিশ্বকাপের ম্যাচ থেকে আত্মবিশ্বাস অবশ্যই নেব আমরা। তবে এবার নতুন দিনে নতুন ম্যাচ। আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করব তাদেরকে হারাতে।”
আফগানিস্তানের প্রতি সমীহের কমতি নেই জস বাটলারের। তবে নিজেদের সামর্থ্যে আস্থা রেখে জিততে আত্মবিশ্বাসী ইংল্যান্ড অধিনায়ক।
জস বাটলার জানান, “তারা খুবই লড়িয়ে একটি দল এবং খুব ভালো পারফর্ম করে চলেছে, সময়ের সঙ্গে ভালো থেকে আরও ভালো হয়ে উঠছে এবং তাদের প্রতি সম্মানের অভাব নেই আমাদের। তাদের ধরন কিছুটা অনন্য এবং রাশিদ ও নুরের মতো দারুণ স্পিনার আছে, যে দুজন দুর্দান্ত এবং তাদের জন্য ভালোভাবে প্রস্তুত হতে হবে আমাদের।”
তিনি আরও জানান, “তবে প্রতিপক্ষের দিকে তাকানোর পাশাপাশি নিজেদের দিকেও মনোযোগ দিতে হবে আমাদের, নিজেদের সেরাটা যেন মেলে ধরতে পারি এবং সেটুকু পারলেই জয়ের জন্য যথেষ্ট হবে, এই আত্মবিশ্বাস যেন রাখতে পারি।”
ইউএ / টিডিএস