পাকিস্তানের বর্তমান শক্তির কারণে ভারতের ‘বি’ দলকেও হারানো তাদের জন্য কঠিন হবে এমন মন্তব্য করেছেন ভারতীয় কিংবদন্তি সুনিল গাভাস্কার।
এই পরিস্থিতির প্রতিফলন দেখা গেছে এবারের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে। রবিবার দুবাইয়ে পাকিস্তানকে ৬ উইকেটে হারিয়ে সেমিফাইনালে চলে গেছে রোহিত শর্মার ভারত। অন্যদিকে দুই ম্যাচে হারার পর নিজ দেশের আসর থেকে বাদ পড়েছে মোহাম্মদ রিজওয়ানের পাকিস্তান।
এবারের ম্যাচের পর স্পোর্টস টুডেকে গাভাস্কার বললেন, ”দুই দলের শক্তি-সামর্থ্যে এখন ফারাক বিস্তর। আমার মনে হয়, ভারতের ‘বি’ দল অবশ্যই (পাকিস্তানের ঘাম ছুটিয়ে ছেড়ে দেবে), ‘সি’ দল পারবে কি না, খুব একটা নিশ্চিত নই। তবে পাকিস্তানের এই দলের এমন ফর্মে ভারতের ‘বি’ দলকে হারাতে খুব, খুবই কষ্ট হবে।”
অথচ একসময় চিত্রটা ছিল ভিন্ন। মুখোমুখি লড়াইয়ের পরিসংখ্যানে যোজন যোজন এগিয়ে ছিল পাকিস্তান। নব্বইয়ের দশকের শেষ পর্যন্তও চমকপ্রদ সব সহজাত প্রতিভাবান ক্রিকেটার উপহার দিয়েছে দেশটি। যারা ভারতকে তো বটেই, তাক লাগিয়ে দিয়েছে ক্রিকেটবিশ্বকে।
যে দেশে ছিল প্রতিভার ছড়াছড়ি, সেই দেশে কেন এখন এত প্রতিভার সংকট, ভেবে পাচ্ছেন না গাভাস্কার। তিনি বলেন, ‘পাকিস্তানের শক্তির গভীরতায় ঘাটতি হওয়াটা বিস্ময়কর। পাকিস্তানের সবসময়ই সহজাত প্রতিভা প্রচুর ছিল। সহজাত এই অর্থে যে, টেকনিক্যালি তারা হয়তো শুদ্ধ নয়, কিন্তু ব্যাট-বলের বোঝাপড়া তাদের স্বয়ংক্রিয়ভাবেই গড়ে উঠত। ইনজামাম-উল-হাকের কথাই ভাবুন। তার যে স্টান্স, তরুণ কাউকে এমন কিছুর পরামর্শ কেউ দেবে না। কিন্তু তার টেম্পারমেন্ট ছিল অসাধারণ। সেটি দিয়েই টেকনিক্যাল ঘাটতি ঘুষিয়ে দিত সে।’
গাভাস্কার বলেন, খুবই অবাক করার মতো ব্যাপার যে, পাকিস্তান থেকে এরকম প্রতিভা আর উঠে আসছে না। তাদের তো পাকিস্তান সুপার লিগ আছে! ভারত কীভাবে সাদা বলের ক্রিকেটে এত তরুণ তারকা তুলে আনছে? আইপিএল দিয়েই তো! এখান থেকে ক্রিকেটাররা রাঞ্জি ট্রফিতে গেছে এবং এক পর্যায়ে জাতীয় দলে এসেছে। পাকিস্তান ক্রিকেটের এই বিশ্লেষণ করতে হবে। তাদের বের করতে হবে, একসময় তাদের এত বিকল্প ক্রিকেটার ছিল, এখন কেন নেই।
সুপ্তি / টিডিএস