মোটামুটি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির পুরো ব্যাটিং অর্ডারই ছিল ব্যর্থ। প্রথম ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে কিছুটা সম্মানজনক স্কোর আসে তাওহীদ হৃদয় এবং জাকের আলী অনিকের অবদানেই। এরপর গত ম্যাচে দলের হাল ধরেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত এবং জাকের আলী। বাকি সবাই ছিলেন ব্যর্থতার দীর্ঘ সারিতে। তবে, সবচেয়ে দৃষ্টিকটু ছিল সিনিয়র ক্রিকেটার মুশফিকুর রহিম এবং মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের ব্যর্থতা।
বিশেষ করে, মুশফিক টানা দুটি ম্যাচেই ব্যর্থ ছিলেন। ভারতের বিপক্ষে গোল্ডেন ডাক হওয়ার পর নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে যেভাবে উইকেট দিয়ে এসেছেন, তা নিয়ে চলছে ব্যাপক সমালোচনা। এদিকে বাংলাদেশের সিনিয়রদের ব্যর্থতা নিয়ে বড় মন্তব্য করেছেন ভারতের সাবেক ওপেনার ওয়াসিম জাফর। একসময় বাংলাদেশ দলের অনূর্ধ্ব-১৯ দলের কোচ জাফর সরাসরি বলেছেন, আইসিসি ইভেন্টে সিনিয়র ক্রিকেটাররা পারফর্ম করতে পারেন না।
ব্যতিক্রম হিসেবে ২০১৯ সালের সাকিব আল হাসানের পারফরম্যান্সের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমরা শুধুমাত্র সম্ভবত সাকিবকে ২০১৯ ওয়ানডে বিশ্বকাপে দেখেছি, যেখানে তিনি ব্যতিক্রমী পারফরমার ছিলেন। আমি জানি না এটি চাপের কারণে হয় কি না, নাকি তারা নিজেরাই অতিরিক্ত চাপ নিয়ে ফেলে, তারা যেন ঠিক পারফর্ম করতেই পারে না।’
ইএসপিএন ক্রিকইনফোর ম্যাচ ডে অনুষ্ঠানে কথা বলতে গিয়ে বাংলাদেশ দলের সিনিয়র নির্ভরতার সমালোচনাই করেছেন জাফর। ‘আজকের শট নির্বাচনও খুব হতাশাজনক ছিল। মুশফিক যে শটটি খেললেন, মাহমুদউল্লাহর সেই বেহিসাবি শট—এটি তো বাঁচা-মরার ম্যাচ ছিল। এ ধরনের ম্যাচে আপনি চান যে তারা সামনে এসে দলকে জেতানোর জন্য খেলুক। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত, আইসিসি ইভেন্টগুলোতে এটাই বাংলাদেশের গল্প হয়ে দাঁড়িয়েছে।’
রাওয়ালপিন্ডিতে বাংলাদেশ অন্তত ৫০ থেকে ৬০ রান কম করেছে বাংলাদেশ, ‘ওই পিচে সহজেই ৩০০-এর বেশি রান করা যেত। বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের নিজেদেরই দোষ দেওয়া উচিত। বোলারদের কাছে এটা অনেক বেশি চাওয়া যে, তারা নিউজিল্যান্ডকে ২৪০ রানের নিচে অলআউট করবে।’
সুপ্তি / টিডিএস