দুবাইয়ের তীব্র গরম, ভারতীয় দলের শক্তিশালী প্রতিপক্ষ এবং উইকেটের চ্যালেঞ্জ—সব কিছুই উপেক্ষা করে একাই লড়াই চালিয়েছিলেন তাওহীদ হৃদয়। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির মঞ্চে তার ক্যারিয়ারের প্রথম ওয়ানডে সেঞ্চুরি হলেও দলকে জয় উপহার দিতে পারেননি। তবে তার ইনিংসের সবচেয়ে অনন্য দিক ছিল শারীরিক সংগ্রাম। প্রচণ্ড গরম ও ক্র্যাম্পের যন্ত্রণার মধ্যেও তিনি প্রায় ৪০ ওভার উইকেটে কাটিয়েছেন এবং লড়াই করেছেন শেষ পর্যন্ত। ম্যাচ শেষে তিনি বললেন, শারীরিকভাবে কিছুটা ভালো থাকলে আরও ২০-৩০ রান যোগ করা সম্ভব হতো।
ম্যাচ শেষে হৃদয় বলেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ, এটা আমার প্রথম আন্তর্জাতিক সেঞ্চুরি। আশা করি, ভবিষ্যতে এই ইনিংস আমাকে আত্মবিশ্বাস দেবে।’ তবে ব্যক্তিগত অর্জনের চেয়েও দলীয় ফলাফল তাকে বেশি ভাবিয়েছে। শুরুতে দ্রুত উইকেট হারানোর পর জাকের আলির সঙ্গে ১৫৪ রানের জুটি গড়লেও কাঙ্ক্ষিত বড় স্কোর গড়া সম্ভব হয়নি।
হৃদয়ের মতে, ‘আমরা যদি একজন ব্যাটারকে শেষ পর্যন্ত রাখতে পারতাম, তাহলে ২৭০ পর্যন্ত যেতে পারতাম। ভারতও খুব সহজে রান তাড়া করতে পারেনি। আমরা অন্তত ৩০-৪০ রান কম করেছি, যা পার্থক্য গড়ে দিয়েছে।’
দীর্ঘক্ষণ ব্যাটিং করার কারণে ক্র্যাম্পে আক্রান্ত হন হৃদয়, যার ফলে তার ব্যাটিংয়ের গতি কিছুটা মন্থর হয়ে যায়। তিনি বলেন, ‘ক্র্যাম্পটা না হলে দলের জন্য আরও ২০-৩০ রান বেশি করতে পারতাম। বাইরে থেকে হয়তো সহজ মনে হয়েছে, কিন্তু ৫ উইকেট হারানোর পর সেটা মোটেও সহজ ছিল না।’
তবে এই চোটকে অজুহাত হিসেবে দাঁড় করাতে চান না তিনি। বরং কন্ডিশন যাই হোক, সেটার সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার মানসিকতাই তার। ‘উইকেট যেমনই থাকুক, সেটাতে খেলতে হবে। সব জায়গার কন্ডিশন একরকম হবে না, তাই মানিয়ে নিতে হবে।’
ম্যাচের পরেও হৃদয়ের কণ্ঠে ছিল প্রত্যয়। ‘আমার ইচ্ছা ছিল ইনিংসটা ক্যারি করা। একটা সময় অনেক ডট বল খেলেছি, কিন্তু বিশ্বাস ছিল শেষ দিকে সেটা পুষিয়ে দিতে পারব। সামনে যদি এমন সুযোগ আসে, আরও ভালো করার চেষ্টা করব, ইনশাল্লাহ।’
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে টিকে থাকতে হলে বাংলাদেশকে পরের ম্যাচে নিউজিল্যান্ডকে হারাতে হবে। কি পারবে হৃদয় আবারও এমন লড়াকু ইনিংস উপহার দিতে? টাইগার ভক্তরা নিশ্চয়ই সেই আশা নিয়েই অপেক্ষা করছেন!
সুপ্তি / টিডিএস