আগামী ১০ জুন ঢাকার পুনর্নির্মিত ও আধুনিক চেহারা পাওয়া জাতীয় স্টেডিয়ামে এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে সিঙ্গাপুরের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দল। প্রায় ১৬০ কোটি টাকা ব্যয়ে সংস্কার হওয়া দেশের প্রধান এই স্টেডিয়ামকে ঘিরে প্রস্তুতি এখন প্রায় শেষ পর্যায়ে।
বাফুফে জানিয়েছে, মূল ম্যাচের পাঁচ দিন আগে জাতীয় দল একটি ফিফা ফ্রেন্ডলি ম্যাচও খেলবে একই ভেন্যুতে। তবে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সেই প্রস্তুতি ম্যাচে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ এখনো নির্ধারিত হয়নি।
নতুন রূপে সাজানো স্টেডিয়ামে চলছে শেষ মুহূর্তের কাজ। মাঠের মানোন্নয়ন ও ফ্লাডলাইট স্থাপন প্রায় শেষের পথে। পূর্ব গ্যালারির শেডের ক্যানোপিতে ফ্লাডলাইট বসানো হয়ে গেছে, যেগুলো প্রতিদিন পরীক্ষামূলকভাবে চালানো হচ্ছে। খুব শিগগিরই পশ্চিম ও উত্তর গ্যালারিতেও বসবে আলো। এই আধুনিক এলইডি ফ্লাডলাইট প্রকল্পে ব্যয় হচ্ছে ৩৮ কোটি টাকার বেশি।
স্টেডিয়ামের উন্নয়ন কাজ ঘনঘন পরিদর্শন করছেন বাফুফে ও জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের কর্মকর্তারা। এরই মধ্যে সিঙ্গাপুর দলের ম্যানেজার স্টেডিয়াম ঘুরে গেছেন, এএফসির কর্মকর্তারাও পরিদর্শন করেছেন ভেন্যু।
ম্যাচের টিকিট বিক্রির নীতিমালাও নির্ধারণ করা হয়েছে। গ্যালারির মোট ২২ হাজার আসনের মধ্যে সাধারণ দর্শকদের জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে ১৮,৩০০টি টিকিট, যা অনলাইনের মাধ্যমে বিক্রি হবে।
টিকিট না পাওয়া দর্শকদের জন্য থাকবে ফ্যান জোন। সেখানে জায়ান্ট স্ক্রিনে খেলা দেখার ব্যবস্থা থাকবে। বিশেষ করে জাতীয় দলের গুরুত্বপূর্ণ ফুটবলার হামজা চৌধুরী দেশের হয়ে মাঠে নামবেন বলেই টিকিটের চাহিদা আকাশচুম্বী হবে বলেই ধারণা করা হচ্ছে।
ম্যাচের ৪৮ ঘণ্টা আগে থেকেই স্টেডিয়াম ঘিরে নেওয়া হবে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা। ১১ জুন পর্যন্ত স্টেডিয়াম চত্বরে কোনো দোকানপাট খোলা যাবে না, পুরো এলাকা থাকবে নিরাপত্তার চাদরে মোড়ানো।