১০ জুন ঢাকায় অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে এশিয়ান কাপ বাছাই পর্বে বাংলাদেশের হোম ম্যাচ, যেখানে প্রতিপক্ষ সিঙ্গাপুর। এই ম্যাচটি ঢাকার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে আয়োজনের প্রস্তুতি নিচ্ছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। এই উপলক্ষে আজ একটি সভা করেছে বাফুফের কম্পিটিশন কমিটি, যেখানে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের (এনএসসি) কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।
কম্পিটিশন কমিটির চেয়ারম্যান বাফুফে নির্বাহী সদস্য ও সাবেক ফুটবলার গোলাম গাউস হলেও সভা শেষে গণমাধ্যমে কথা বলেন কমিটির সদস্য ও আরামবাগ ক্লাবের সভাপতি তাজওয়ার আউয়াল। তিনি জানান, “আমরা দর্শকদের আবার মাঠে ফেরাতে চাই। সবাই যেন স্বাচ্ছন্দ্যে খেলা দেখতে পারেন, সেজন্য স্টেডিয়ামের নানা দিক নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এনএসসিও আমাদের পাশে রয়েছে।”
টিকিট ব্যবস্থাপনায়ও আধুনিকতার ছোঁয়া আনতে চায় বাফুফে। তাজওয়ার বলেন, “আমরা অনলাইনে টিকিট বিক্রির পরিকল্পনা করছি। টিকিটের দাম এখনো চূড়ান্ত হয়নি, তবে এটা ফেডারেশন ও মার্কেটিং কমিটির সঙ্গে আলোচনা করেই ঠিক করা হবে।”
টিকিট সংখ্যা ও ক্যাটাগরি নিয়েও আলোচনা হয়েছে। তিনি বলেন, “সাধারণ গ্যালারির জন্য ১৮,৩০০টি টিকিট রাখা হবে। অন্যান্য ক্যাটাগরির টিকিটের মূল্য নির্ধারণ করা হবে দর্শকদের সুবিধা ও আয় দুটো বিবেচনায় রেখেই।”
সভা শেষে ফেডারেশন ও এনএসসির কর্মকর্তারা মাঠ ও গ্যালারি ঘুরে দেখেন। তাজওয়ার জানান, “আমরা চাই দর্শকরা যেন উন্নত পরিবেশ পান—ফুড জোন, স্বাস্থ্যসম্মত টয়লেটসহ আধুনিক সুযোগ-সুবিধা। এর জন্য আমরা নিয়মিত সভা করে অগ্রগতি পর্যবেক্ষণ করব এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেব।”
এএফসির নিয়ম অনুযায়ী, ম্যাচের এক মাস আগে ভেন্যুর নাম জানাতে হয়। বাফুফে ইতোমধ্যে জাতীয় স্টেডিয়ামের নাম জমা দিয়েছে। স্টেডিয়ামের সংস্কার কাজ চলছে এবং এএফসির ম্যাচ কমিশনার ২২ মে’র মধ্যে তা শেষ করার নির্দেশনা দিয়েছেন। বাফুফে আশাবাদী, নির্ধারিত সময়েই সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হবে।
এর আগে, ৫ জুন একটি প্রীতি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। যদিও প্রতিপক্ষ এখনো নির্ধারিত হয়নি, তবে ম্যাচটি জাতীয় স্টেডিয়ামেই হবে নিশ্চিত। এই ম্যাচের টিকিট অনলাইনে বিক্রি করা হবে কি না, সে বিষয়ে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানান গোলাম গাউস।