ক্লাব ও জাতীয় দলের হয়ে সময়টা ভালো যাচ্ছে না ভিনিসিয়ুস জুনিয়রের। মাঠে গোলের সুযোগ পেলেও কাজে লাগাতে পারছেন না নিয়মিতভাবে। এবার মাঠের বাইরে আরেক বড় সংকটে পড়তে যাচ্ছেন ব্রাজিলিয়ান এই ফরোয়ার্ড—অভিযোগ উঠেছে, একাধিক ক্লাবের সঙ্গে সরাসরি বা পরোক্ষভাবে মালিকানা সংযুক্তির।
ইতালিয়ান ক্রীড়া সাংবাদিক ফ্যাব্রিজিও রোমানো স্প্যানিশ দৈনিক মার্কা-র বরাত দিয়ে জানিয়েছেন, ফিফা ভিনির বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে সর্বোচ্চ দুই বছরের নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়তে পারেন রিয়াল মাদ্রিদের এই তারকা।
মার্কা-র প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভিনিসিয়ুস নিজের বাবার প্রতিষ্ঠিত ‘অল এজেন্সিয়ামেন্টো স্পোর্তিভো’ নামক একটি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ক্লাব পরিচালনায় যুক্ত। এমনকি তিনি অর্থায়নও করেন বলে দাবি করা হয়েছে। এতে ফিফার নিয়ম ভঙ্গ হয়েছে—একজন পেশাদার ফুটবলার সরাসরি বা পরোক্ষভাবে একাধিক ক্লাবের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকতে পারেন না।
ফিফার নীতিমালার ২০ ও ২২ নম্বর ধারা অনুযায়ী, ‘স্বার্থের দ্বন্দ্ব’ প্রমাণিত হলে ফুটবলারকে দুই বছরের নিষেধাজ্ঞা, অর্থদণ্ড বা ক্লাবের মালিকানা ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া যেতে পারে।
‘টাইবেরিস হোল্ডিং দো ব্রাজিল’ নামের একটি প্রতিষ্ঠান ৭ এপ্রিল ফিফার ডিসিপ্লিনারি কমিটির কাছে ভিনির বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে। এতে বলা হয়েছে, ব্রাজিলের ‘অ্যাথলেটিক ক্লাব দে সাও জোয়াও দেল রেই’ এবং পর্তুগালের ‘আলভের্কা ক্লাব’-এর সঙ্গে ভিনির সম্পৃক্ততা রয়েছে। এসব ক্লাবে তার প্রত্যক্ষ মালিকানাও রয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। উল্লেখ্য, সাও জোয়াও দেল রেই ক্লাবের ১৬.৫ শতাংশ মালিকানাই আবার ‘টাইবেরিস’-এর।
তদন্ত সত্য হলে এটি ভিনিসিয়ুসের জন্য বড় ধাক্কা হতে পারে। চলতি মৌসুমে রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে ৪৭ ম্যাচে ২০ গোল ও ১৪ অ্যাসিস্ট করেছেন তিনি। সামনে রয়েছে বার্সেলোনার বিপক্ষে কোপা দেল রে ফাইনাল। যদিও চ্যাম্পিয়নস লিগের কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে ছিটকে গেছে রিয়াল। লা লিগায়ও বার্সার সঙ্গে চলছে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই।
২০১৮ সাল থেকে রিয়ালে খেলা ভিনি ক্লাবটির হয়ে জিতেছেন একাধিক শিরোপা। তবে এই তদন্ত ও সম্ভাব্য নিষেধাজ্ঞা তাঁর পেশাদার ক্যারিয়ারের জন্য হতে পারে বড় হুমকি।