গত শুক্রবার বাংলাদেশ সময় দুপুরে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত কানাডিয়ান ফুটবলার সামিত সোম আনুষ্ঠানিকভাবে লাল-সবুজ জার্সিতে খেলার আগ্রহের কথা জানিয়ে দেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনকে (বাফুফে)। যদিও তার পরবর্তী আলোচনার কথা থাকলেও ব্যস্ততার কারণে তা তখন হয়নি।
তিন দিন পর, আজ সকালে সামিত সোমের সঙ্গে অনলাইন বৈঠকে বসেন বাফুফের সহ-সভাপতি ফাহাদ করিম। বৈঠকে সামিতের বন্ধু অমিত হাসানও উপস্থিত ছিলেন। আধাঘণ্টারও বেশি সময় ধরে চলা এই আলোচনা ছিল বেশ ফলপ্রসূ।
বৈঠক শেষে ফাহাদ করিম বলেন, “সামিত বাংলাদেশের হয়ে খেলার জন্য মুখিয়ে আছে। ১০ জুন ঢাকায় জাতীয় দলের পরবর্তী ম্যাচে তিনি অংশ নিতে পারবেন বলে জানিয়েছেন। এশিয়ান কাপের বাকি ম্যাচগুলো একটু পরে, তাই সেগুলো নিয়ে তিনি তার ক্লাব ও কোচের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত জানাবেন। এছাড়া জুনের শেষ দিকে শ্রীলঙ্কার কলম্বোতে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ অনুষ্ঠিত হতে পারে, সেটার কথাও তাকে জানিয়েছি।”
তবে সামিতকে ১০ জুনের ম্যাচে খেলাতে হলে বাফুফেকে আগামী ৩ জুনের মধ্যেই তার সব আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করতে হবে। এজন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো বাংলাদেশি পাসপোর্ট। এই বিষয়েই আজকের আলোচনায় সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
ফাহাদ করিম জানান, “সামিতও জুনেই খেলার ব্যাপারে আশাবাদী। আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়া সম্পর্কে সে অবগত। আমরা ইতিমধ্যে তার জন্ম নিবন্ধনের কাজ শুরু করেছি। এটা হয়ে গেলে সে কানাডায় বাংলাদেশ হাই কমিশনে গিয়ে পাসপোর্টের আবেদন করবে। তার ক্লাবের অনুশীলনসূচি ব্যস্ত, তাই যেন সহজে আবেদন করে ফিরে যেতে পারে, সেটাও আমরা নিশ্চিত করবো।”
আন্তর্জাতিক ফুটবলে খেলোয়াড়রা সাধারণত বড় অঙ্কের সম্মানী পান না। তবে বিভিন্ন ফেডারেশনের সামর্থ্য ও নীতির ওপর ভিত্তি করে কিছু সুবিধা থাকে। উদাহরণস্বরূপ, ইংল্যান্ডের হয়ে খেলা হামজা চৌধুরী বাংলাদেশ সফরে বিজনেস ক্লাস টিকিট পেয়েছিলেন।
তবে সামিত সোম এখনও কোনো আর্থিক বা বাড়তি সুবিধার কথা বলেননি। সহ-সভাপতি ফাহাদ করিম বলেন, “আমি একাধিকবার তার চাহিদা জানতে চেয়েছি। কিন্তু তিনি কিছু বলেননি। তার একমাত্র লক্ষ্য বাংলাদেশের হয়ে খেলা। এখন শুধু পাসপোর্টের অপেক্ষায় আছেন। সেটা হয়ে গেলে পরবর্তী ধাপ নিয়ে আবার আলোচনা হবে।”