বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) প্রশাসনিক স্টাফরা যথাযথভাবে বেতন ও বোনাস পেলেও ফুটবল ম্যাচ পরিচালনাকারী রেফারি এবং বাফুফের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ নারী ফুটবলাররা এখনো তাদের বেতন পাননি।
বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) ছিল ঈদের আগে শেষ কর্মদিবস। সাধারণত প্রায় সব প্রতিষ্ঠানই কর্মীদের বেতন-বোনাস পরিশোধের সর্বোচ্চ চেষ্টা করে। আফিদাদের পাশাপাশি বাফুফে উঠতি ফুটবলারদেরও চুক্তির আওতায় এনেছে। এক মাস পার হয়ে গেলেও ঈদের আগে তারা এখনো বেতন পাননি।
বাফুফে সাধারণ সম্পাদক ইমরান হোসেন তুষার নারী ফুটবলারদের সম্মানী সম্পর্কে বলেন, ‘চুক্তির পরই সবাইকে (যারা নতুন) ব্যাংক অ্যাকাউন্ট করতে বলা হয়েছিল। অনেকে অ্যাকাউন্ট করেনি এজন্য আমরা তাদের সম্মানী দিতে পারিনি। ঈদের পর সবাইকে একসঙ্গে দেওয়া হবে। তাদের জন্য আমাদের আর্থিক ব্যবস্থাপনা আগে থেকেই প্রস্তত রয়েছে।’
সাধারণ সম্পাদক উঠতি ফুটবলারদের ওপর দায় চাপালেও ফেডারেশনের সদিচ্ছার অভাব স্পষ্ট। বাফুফে ভবন অবস্থিত ব্যাংক-বাণিজ্যের কেন্দ্র মতিঝিলে, যেখানে নারী ফুটবলাররাও বসবাস করেন। বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের স্পন্সর ঢাকা ব্যাংক, তাই অতি স্বল্প সময়েই সহজে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলা সম্ভব ছিল।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হয়ে একাধিক রেফারি বলেন, ‘প্রথম লেগ শেষ হয়েছে এক মাসের বেশি। আমাদের সেই অর্থ ঈদের আগে দেয়নি শুনেছি তারা নাকি স্পন্সর থেকে অর্থ পায়নি। আমরা ফেডারেশনের কাছে অনেক টাকা পাওনা। ঈদের আগে অন্তত আমাদের কিছু দেওয়া উচিত ছিল।’
ইউএ / টিডিএস