দুর্দান্ত খেলেও ফিফটি পাননি বিজয়

স্পোর্টস ডেস্ক

২০১৩ সালে টেস্ট ক্যারিয়ার শুরু করা এনামুল হক বিজয়ের এখন পর্যন্ত টেস্টে খেলেছেন মাত্র ৫টি ম্যাচ। গতকাল চট্টগ্রামে খেলতে নেমে তার ক্যারিয়ারের ষষ্ঠ টেস্ট ম্যাচে সুযোগ পেয়েছিলেন, তবে বাংলাদেশ প্রথমে বোলিং করার কারণে ব্যাট হাতে মাঠে নামেননি তিনি। আজ মঙ্গলবার, দ্বিতীয় দিন, বাংলাদেশকে দারুণ সূচনা দিয়েছেন দুই ওপেনার, সাদমান ইসলাম এবং বিজয়। তবে বিজয়ের জন্য আজও রয়ে গেছে এক আফসোস।

ক্যারিয়ারের প্রথম ফিফটির সম্ভাবনা তৈরি করেও সেটি অর্জন করতে পারেননি বিজয়। ৮০ বলে ৩৯ রান করে ব্লেসিং মুজারাবানির কাছে তিনি পরাস্ত হন এবং রিভিউ নেওয়ার পরও সিদ্ধান্ত পাল্টাতে পারেননি। কিছুটা হতাশা নিয়ে মাঠ ছাড়েন বিজয়।

এদিকে, আজকের ৩৯ রানের ইনিংসটি ছিল বিজয়ের টেস্ট ক্যারিয়ারের সেরা। এর আগে তার সর্বোচ্চ ইনিংস ছিল ২৩ রান, যা ২০২২ সালের জুনে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে গ্রস আইল্যান্ডে করেছিলেন। এরপর তিনি জাতীয় দলের লাল বলের ক্রিকেট থেকে বাদ পড়েছিলেন।

তিন বছর পর, অনেক আশা নিয়ে টেস্ট ক্রিকেটে ফেরেন বিজয়, তবে আজও এক অপ্রাপ্তি নিয়ে মাঠ ছাড়তে হলো তাকে।

বিজয়ের আউটের মাধ্যমে ভেঙে যায় বাংলাদেশের ১১৮ রানের উদ্বোধনী জুটি। এই প্রতিবেদন লেখার সময় পর্যন্ত বাংলাদেশের সংগ্রহ ছিল ৩৫ ওভারে ১ উইকেটে ১২৭ রান।

ক্রিকেট ভক্তরা এমন একটি শুরুই চেয়েছিলেন, যেখানে উদ্বোধনী জুটিই একটি শক্তিশালী ভিত্তি তৈরি করবে এবং বড় সংগ্রহের সম্ভাবনা তৈরি হবে। চট্টগ্রাম টেস্টের দ্বিতীয় দিনে বাংলাদেশ ওপেনাররা সেই প্রত্যাশা পূর্ণ করেছেন, সাদমান ইসলাম ও এনামুল হক বিজয়ের ১০৫ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে। সাদমান ফিফটি হাঁকিয়ে ৬১ রানে অপরাজিত ছিলেন, আর বিজয় ৩৮ রানে। বাংলাদেশ এখন ১২২ রানে পিছিয়ে ছিল।

আজ মঙ্গলবার, চট্টগ্রামের বীরশ্রেষ্ঠ ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় দিন শুরু করে জিম্বাবুয়ে ২২৭ রানে ৯ উইকেটে। সফরকারীরা আশা করছিল শেষ উইকেটে কিছু রান যোগ করতে পারবে। তবে বাংলাদেশ প্রথম বলেই মুজারানিকে আউট করে, এবং ২২৭ রানে জিম্বাবুয়ে অলআউট হয়ে যায়।

তাইজুল ইসলামের ৬০ রানে ৬ উইকেট শিকার করে ইনিংসটি স্মরণীয় করে তুলেছিলেন, যা তার ১৬তম ফাইফার। এছাড়া নাঈম হাসান ২ উইকেট এবং তানজিম সাকিব ১ উইকেট নেন।

You may also like