প্রথম সেশন শেষে ম্যাচে দুই দলই ছিল প্রায় সমানে-সমানে। ২ উইকেটে ৮৯ রান তুলে লাঞ্চে যায় জিম্বাবুয়ে যা পরিস্থিতি বিবেচনায় সফরকারীদের জন্য ইতিবাচক সূচনা। সিরিজে পিছিয়ে থাকা বাংলাদেশের লক্ষ্য ছিল দ্বিতীয় সেশনে দ্রুত উইকেট তুলে নেওয়া। কিন্তু টাইগার বোলাররা তা করতে ব্যর্থ হন। ফলে দ্বিতীয় সেশনে কোনো উইকেট না হারিয়ে আরও মজবুত অবস্থানে পৌঁছে যায় জিম্বাবুয়ে।
সেশন শুরুর সময় নিক ওয়েলচ ছিলেন ৫৩ বলে ৩২ রানে অপরাজিত এবং তার সঙ্গী শন উইলিয়ামস ৩৪ বলে ৬ রান নিয়ে খেলছিলেন। চা বিরতিতে যাওয়ার আগ পর্যন্ত ২৮ ওভারে তারা যোগ করেন ৭২ রান উইকেট না হারিয়ে। দুজনেই তুলে নেন অর্ধশতক—ওয়েলচ ৫৪ ও উইলিয়ামস ৫৫ রানে অপরাজিত থেকে দিন শেষে মাঠ ছাড়েন। তাদের অপরাজিত ৮৯ রানের জুটি বড় সংগ্রহের স্বপ্ন দেখাচ্ছে সফরকারীদের।
তবে একবার উইকেটের খুব কাছেই গিয়েছিল বাংলাদেশ। তাইজুল ইসলামের বলে সিঙ্গেল নিতে গিয়ে উইকেটের মাঝপথে পড়ে যান উইলিয়ামস। কিন্তু জাকের আলির প্রথম থ্রোতে ভুল এবং পরে তাইজুলের হাতে বল পৌঁছাতে দেরি হওয়ায় বেঁচে যান এই অভিজ্ঞ ব্যাটার। সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশকে আরও চাপে ফেলে দেন তারা।
ম্যাচের শুরুতে সফরকারী অধিনায়ক ক্রেইগ আরভাইন টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন। শুরুতে দুই পেসার দিয়ে আক্রমণ শুরু করে বাংলাদেশ। তবে অষ্টম ওভারে স্পিনার মেহেদী হাসান মিরাজকে আক্রমণে আনেন শান্ত। যদিও মিরাজের বলে সুযোগ তৈরি হয়েছিল কিন্তু স্লিপে ক্যাচ ছেড়ে দেন সাদমান ইসলাম।
এরপর অভিষেকে দারুণ সাফল্য এনে দেন তানজিম হাসান সাকিব যিনি ব্রায়ান বেনেটকে আউট করেন। দ্বিতীয় উইকেটটি আসে তাইজুল ইসলামের হাতে যিনি ফিরিয়ে দেন বেন কারানকে। তবে এরপর থেকেই জিম্বাবুয়ের ব্যাটারদের নিয়ন্ত্রিত ব্যাটিংয়ের সামনে বোলারদের হতাশাই সঙ্গী হয়।
ইউএ / টিডিএস