ক্রিকেটে সাধারণত তারকার তকমা জোটে ব্যাট-বলের লড়াইয়ে থাকা খেলোয়াড়দেরই। তবে ব্যতিক্রম হয়ে উদাহরণ তৈরি করেছেন শরফুদ্দৌলা ইবনে শহীদ সৈকত। আম্পায়ারিং দিয়েই দেশের ক্রিকেটে তারকাখ্যাতি পাওয়া এই ব্যক্তিত্ব এখন আন্তর্জাতিক পর্যায়েও পরিচিত মুখ।
সৈকত বর্তমানে আইসিসির এলিট প্যানেলের সদস্য এবং নিয়মিতভাবেই বৈশ্বিক ইভেন্টে ম্যাচ পরিচালনা করছেন। এমনকি তিনি বোর্ডার-গাভাস্কার সিরিজের মতো মর্যাদাসম্পন্ন টেস্ট সিরিজেও দায়িত্ব পালন করেছেন সফলভাবে।
তবে সম্প্রতি গুঞ্জন উঠেছে দেশের সেরা এই আম্পায়ার বিসিবির চাকরি ছাড়তে চাইছেন। মূলত ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে মোহামেডানের অধিনায়ক তাওহীদ হৃদয়ের বিরুদ্ধে নেওয়া একটি সিদ্ধান্তকে কেন্দ্র করেই ক্ষুব্ধ হন সৈকত। তার সেই অসন্তোষ থেকেই চাকরি ছাড়ার ইচ্ছা প্রকাশ করে বিসিবিতে পত্র দেন তিনি।
তবে বিসিবি সৈকতের দেওয়া সেই পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেনি। বরং বিষয়টি নিয়ে আলোচনায় বসে বোর্ড। আলোচনার পর এক বিবৃতিতে বিসিবি জানায় হৃদয়ের দুই ম্যাচের নিষেধাজ্ঞার মধ্যে একটি ম্যাচ শেষ হয়ে গেছে এবং বাকি এক ম্যাচ পরবর্তী ডিপিএল আসরে কার্যকর হবে।
এই সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয় ক্রিকেটারদের সঙ্গে বিসিবির একদিনব্যাপী বৈঠকের পর। সব মিলিয়ে সৈকতের বিষয়টি গুরুত্বসহকারে দেখছে বোর্ড এবং তাকে ধরে রাখার চেষ্টাও করছে বিসিবি।
আম্পায়ার্স কমিটির চেয়ারম্যান ইফতেখার রহমান মিঠু জানিয়েছেন সৈকতের মতো আম্পায়ারকে অবশ্যই দরকার বিসিবির। বিসিবির এই পরিচালক বলেছেন, ‘যেহেতু একটা ভুল থেকে আরেকটা ভুল হয়েছে, এতকিছু হলো এখন ক্রিকেটের ভালোর জন্যই সবকিছু করা হবে। সে মনঃক্ষুন্ন হয়েছে একটু, তার মতো আম্পায়ারকে বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্য সবসময় প্রয়োজন। তাকে ফিরিয়ে আনতে চায় বিসিবি।’
ইউএ / টিডিএস