বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতির দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই নানা কারণে আলোচনার কেন্দ্রে রয়েছেন ফারুক আহমেদ। বোর্ড পরিচালকদের সঙ্গে দূরত্ব, বিপিএল আয়োজনের পেশাদারিত্বের অভাব, টিকিট বিতরণে দর্শকদের অসন্তোষ এবং জাতীয় দলের হতাশাজনক পারফরম্যান্স—সব মিলিয়ে তিনি রয়েছেন চাপের মুখে।
সম্প্রতি ক্রিকেট মহলে জোর গুঞ্জন ওঠে বিসিবির ফিক্সড ডিপোজিট থেকে ফারুক আহমেদ ১২০ কোটি টাকা সরিয়েছেন। তবে একটি জাতীয় গণমাধ্যমের অনুসন্ধানে জানা গেছে বিষয়টি আরও বড়। সেখানে দাবি করা হয়েছে ফিক্সড ডিপোজিট থেকে মোট ২৫০ কোটি টাকা স্থানান্তর করা হয়েছে ১৪টি ভিন্ন ব্যাংকে।
প্রতিবেদনে উঠে এসেছে গত আগস্ট থেকে বিসিবির এফডিআর স্টেটমেন্ট অনুযায়ী যে টাকা স্থানান্তর করা হয়েছে, তা আসলে ক্রিকেট বোর্ডের আর্থিক লাভের জন্যই। প্রথম ধাপে হলুদ তালিকাভুক্ত আইএফআইসি ও মিডল্যান্ড ব্যাংক থেকে প্রায় ১২ কোটি টাকা সরিয়ে নেওয়া হয় মধুমতি ব্যাংকে যেখানে সুদের হার তুলনামূলক বেশি—ফলে বেড়েছে আয়।
পরবর্তী ধাপে আরও ১০ কোটি টাকা স্থানান্তর করা হয় একই সুদের হারে। এরপর একাধিক ধাপে হলুদ ও লাল তালিকাভুক্ত ব্যাংকগুলো থেকে নতুন ১৪টি ব্যাংকে মোট ২৫০ কোটি টাকা স্থানান্তর করা হয়।
এই স্থানান্তরের ফলে শুধু সুদের হারই বাড়েনি বরং নতুন ব্যাংকগুলোর কাছ থেকে বিসিবি পেয়েছে স্পন্সরশিপ সুবিধাও। এছাড়া অবকাঠামোগত উন্নয়নের জন্য ২৫ কোটি টাকার বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি পাওয়া গেছে।
এদিকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গুঞ্জন উঠেছিল বোর্ড পরিচালকদের অনুমতি ছাড়াই ফারুক আহমেদ এককভাবে এই আর্থিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তবে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই গুঞ্জন সত্য নয়। পুরো প্রক্রিয়ায় যুক্ত ছিলেন বিসিবির ফাইন্যান্স কমিটির প্রধান ও আরেকজন প্রভাবশালী বোর্ড পরিচালক।
এ প্রসঙ্গে বিসিবি সভাপতি সেই গণমাধ্যমকে বলেন, ‘২৩৮ কোটি টাকা। আমি কোথাও সাইন করি না। টাকাগুলো যে গেছে ওখানে একটা নিউজ আসছে কেউ জানে না এটা হলো ওটার অ্যানসার। আর এখানে সবগুলা ২-৫% বেশি ইন্টারেস্ট রেটে দেয়া হয়েছে।’
‘রেড জোন থেকে গ্রিন আর ইয়োলো জোনের ব্যাংকে নিয়ে গেছি টাকা। স্ট্যানডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকে আছে ১২ কোটি টাকা। মোট আড়াইশ কোটি। এদের থেকে আমি স্পন্সর পেয়েছি ১২ কোটি টাকার কাছাকাছি আর প্রতিশ্রুতি পেয়েছি আরও ২৫ কোটি টাকার ইনফ্রাস্ট্রাকচার বানায় দিবে।’-যোগ করেন তিনি।
ইউএ / টিডিএস