গত ১২ এপ্রিল আম্পায়ার শরফুদ্দৌলা ইবনে শহিদ সৈকতের সঙ্গে বিতণ্ডায় জড়িয়েছিলেন তাওহীদ হৃদয়, যার জেরে তার ওপর দুই ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। তবে মোহামেডান ক্লাব সেই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল করে। নাটকীয়ভাবে সেই শাস্তি কমিয়ে আনা হয় এক ম্যাচে, যার ফলে প্রিমিয়ার লিগের সুপার লিগ পর্বের দ্বিতীয় ম্যাচে তিনি খেলেন অগ্রণী ব্যাংকের বিপক্ষে এবং ফেরেন অধিনায়কত্বেও।
কিন্তু এরপর বিষয়টি ঘুরে দাঁড়ায় নতুন মোড় নিয়ে। অভিযোগ ওঠে, টুর্নামেন্ট চলাকালেই কোড অব কন্ডাক্টে পরিবর্তন এনে হৃদয়কে খেলানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল—যা যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ না করেই করা হয়েছিল।
আজ (বৃহস্পতিবার) মিরপুর শের-ই বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বিসিবি পরিচালক এবং সিসিডিএমের নতুন কনভেনার নাজমুল আবেদিন ফাহিম বিষয়টি স্পষ্ট করেন। তিনি বলেন, “আমাদের কিছুটা নিয়মের বাইরে চলে যাওয়া হয়েছিল। যেভাবে অভ্যন্তরীণভাবে বাইলজ পরিবর্তন করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল, সেটা এই কমিটির এখতিয়ারভুক্ত নয়। আমাদের নিয়ম অনুযায়ী আগের নিয়মই কার্যকর থাকবে।”
তিনি আরও বলেন, “হৃদয় যে ম্যাচে খেলেছে, সেটা আমরা বৈধ বলেই ধরে নিচ্ছি। কিন্তু এখন থেকে আমরা নিয়ম মেনে চলব। সে অনুযায়ী গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সের বিপক্ষে মোহামেডানের পরবর্তী ম্যাচে তাওহীদ হৃদয় খেলতে পারবে না।”
আগামী ২৬ এপ্রিল মোহামেডান সুপার লিগে গাজী গ্রুপের মুখোমুখি হবে, আর এই ম্যাচেই মাঠের বাইরে থাকতে হবে হৃদয়কে।