সিলেট টেস্টে শেষ দুই দিন ধরে বৃষ্টির ধাক্কা থাকলেও উত্তেজনার কমতি ছিল না। তৃতীয় দিনে খেলা হয়েছিল মাত্র ৪৪ ওভার যেখানে নাজমুল হোসেন শান্তর দারুণ ব্যাটিং কিছুটা স্বস্তি দিয়েছিল বাংলাদেশকে। তবে চতুর্থ দিনে আবারও সেই পুরনো চিত্র—বৃষ্টির বাধা। কিন্তু খেলা শুরু হওয়ার পরপরই বদলে যায় দৃশ্যপট। ব্লেসিং মুজারাবানির আগুনে স্পেলে একেবারে তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইনআপ। মাত্র সাত ওভারের মধ্যে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় টাইগাররা।
মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) দিন শেষে বাংলাদেশের স্কোর ছিল ৪ উইকেটে ১৯৪ রান। শান্ত অপরাজিত ছিলেন ৬০ রানে। কিন্তু আজ দ্বিতীয় বলেই মুজারাবানির বলে উইকেট ছুঁয়ে ফিরতে হয় তাকে—রানের খাতায় কোনো সংযোজন না করেই।
এরপর দ্রুত সাজঘরে ফেরেন মেহেদি হাসান মিরাজ (১১) এবং তাইজুল ইসলাম (৩)। মিরাজ শর্ট লেন্থের বলে গালিতে ক্যাচ দেন মুজারাবানিকে, আর তাইজুল এনগারাভার বলে উইকেটকিপার মায়াভোর হাতে ধরা পড়েন।
এই ধসের মাঝে দলকে কিছুটা সামাল দেন জাকের আলি অনিক ও হাসান মাহমুদ। তারা গড়েন ৩৫ রানের গুরুত্বপূর্ণ জুটি। জাকের নিজের টেস্ট ক্যারিয়ারের চতুর্থ অর্ধশতক তুলে নেন। আট ইনিংসের ক্যারিয়ারে এটি তার চতুর্থ ফিফটি। তবে হাসান মাহমুদ (১২) বেশি সময় টিকতে পারেননি। তার পরের বলেই ফিরে যান খালেদ আহমেদ। শেষ উইকেটে দ্রুত রান তোলার চেষ্টা করেন জাকের তবে মুজারাবানিকে ছক্কা মারতে গিয়ে বাউন্ডারির কাছে ধরা পড়েন। শেষ পর্যন্ত তার ব্যাট থেকে আসে মূল্যবান ৫৮ রান।
বাংলাদেশ দ্বিতীয় ইনিংসে অলআউট হয়েছে ২৫৫ রানে। ফলে জিম্বাবুয়ের সামনে জয়ের জন্য লক্ষ্য দাঁড়িয়েছে ১৭৪ রান।
বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইনআপ কার্যত গুঁড়িয়ে দিয়েছেন ব্লেসিং মুজারাবানি। ২০.২ ওভারে ৭২ রান দিয়ে শিকার করেন ৬ উইকেট। এছাড়া ওয়েলিংটন মাসাকাদজা নেন ২ উইকেট। ম্যাচ এখন হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের দিকে এগোচ্ছে।
ইউএ / টিডিএস