সিলেট টেস্ট শুরুর আগেই আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিলেন টাইগার পেস সেনসেশন নাহিদ রানা। দুই দলের সংবাদ সম্মেলনেও তাকে ঘিরে কম খোঁচা চলেনি। তরুণ এই গতির তারকাকে নিয়ে যতটা আলোচনা, তার ছায়ায় কিছুটা ঢাকা পড়ে গিয়েছিলেন জিম্বাবুয়ের দীর্ঘদেহী পেসার ব্লেসিং মুজারাবানি। তবে সিলেটের বাউন্সি উইকেটে তিনিই হয়ে উঠলেন আসল ‘এক্স ফ্যাক্টর’।
৬ ফুট ৮ ইঞ্চি উচ্চতার মুজারাবানির গতি আর বাউন্স দুঃস্বপ্নের মতো চেপে বসেছে বাংলাদেশের ব্যাটারদের ওপর। প্রথম ইনিংসে ব্যাটিং ব্যর্থতার পর দ্বিতীয় ইনিংসে ঘুরে দাঁড়িয়ে বড় লিডের আশায় ছিল বাংলাদেশ। কিন্তু সেই স্বপ্নে হানা দেয় মুজারাবানির একের পর এক বিষাক্ত স্পেল।
প্রথম ইনিংসে ৩ উইকেট নেওয়ার পর দ্বিতীয় ইনিংসে তুলে নেন দারুণ এক ফাইফার। এর মধ্য দিয়ে টেস্টে এটি মুজারাবানির তৃতীয়বার ইনিংসে পাঁচ বা ততোধিক উইকেট নেওয়ার কৃতিত্ব। তার টেস্ট ক্যারিয়ারের সেরা বোলিং পারফরম্যান্স অবশ্য এসেছিল এ বছরই—বুলাওয়েতে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ৫৮ রানে ৭ উইকেট। সিলেটেও সেই ফর্ম যেন নতুন করে জ্বলে উঠেছে তার হাতে।
এছাড়াও সিলেট টেস্টে গড়েছেন আরেকটি উল্লেখযোগ্য কীর্তি—বাংলাদেশের বিপক্ষে টেস্টে জিম্বাবুয়ের কোনো পেসারের সেরা বোলিং ফিগারের রেকর্ড এখন যৌথভাবে ব্লেসিং মুজারাবানির দখলে। যদিও বাংলাদেশের বিপক্ষে এক টেস্টে সর্বোচ্চ ৮ উইকেট নেওয়ার কীর্তি আগেই ছিল গ্রান্ট ফ্লাওয়ার এবং অ্যান্ডি ব্লিগনাটের তবে তাদের কেউই পেসার নন।
২০০১ সালে চট্টগ্রাম টেস্টে বাঁহাতি অর্থডক্স স্পিনার গ্রান্ট ফ্লাওয়ার নিয়েছিলেন ১০৪ রান দিয়ে ৮ উইকেট। একই বছরে বুলাওয়ে টেস্টে ব্লিগনাট ১১০ রান খরচায় নেন ৮টি উইকেট।
অন্যদিকে, মুজারাবানি এই টেস্টে এখন পর্যন্ত দিয়েছেন ১২২ রান এবং তুলে নিয়েছেন ৮ উইকেট। যদিও রান খরচ বেশি হওয়ায় বাংলাদেশের বিপক্ষে এক ম্যাচে সেরা বোলিং ফিগারে এখন তিনি রয়েছেন তৃতীয় স্থানে। তবে আর মাত্র একটি উইকেট পেলে তিনি এককভাবে হয়ে উঠবেন বাংলাদেশের বিপক্ষে টেস্টে জিম্বাবুয়ের সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি।
ইউএ / টিডিএস