সিলেটে সোমবার (২১ এপ্রিল) রাত থেকেই শুরু হয়েছিল থেমে থেমে বৃষ্টি। মঙ্গলবার সকাল পেরোতেই তা রূপ নেয় বজ্রসহ মুষলধারে বৃষ্টিতে। এতে করে তৃতীয় দিনের প্রথম সেশনে খেলা শুরু হওয়া নিয়ে দেখা দিয়েছে শঙ্কা।
এরই মাঝে টেস্টের প্রথম দুই দিনেই বেশ রঙ বদলেছে সিলেটের ম্যাচ। প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশ গুটিয়ে যায় মাত্র ১৯১ রানে। জবাবে জিম্বাবুয়ে তোলে ২৭৩ রান, ফলে ৮২ রানের লিড পায় সফরকারীরা। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষে বাংলাদেশ তুলেছে ১ উইকেটে ৫৭ রান। ওপেনার সাদমান ইসলাম ৪ রানে বিদায় নিলেও, মাহমুদুল হাসান জয় ২৮ এবং মুমিনুল হক ১৫ রানে অপরাজিত রয়েছেন। এখনো টাইগাররা পিছিয়ে ২৫ রানে।
দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষে সংবাদ সম্মেলনে মেহেদী হাসান মিরাজ মনে করিয়ে দিয়েছেন অতীতের ঘুরে দাঁড়ানোর উদাহরণ, ‘ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সেই টেস্ট মনে আছে? প্রথম ইনিংসে ১৬৪ রানে গুটিয়ে গিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে ফিরে এসেছিলাম। সেখান থেকেই অনুপ্রেরণা নিতে হবে।’
জিম্বাবুয়ের প্রথম ইনিংসের ২৫ রানের লিড কিছুটা চাপে ফেললেও মিরাজের বিশ্বাস দ্বিতীয় ইনিংসে ৪০০ বা তার বেশি রান তুলতে পারলে জয় সম্ভব। তার মতে, যদিও উইকেট স্পোর্টিং তবে এত বড় লক্ষ্য তাড়া করা জিম্বাবুয়ের জন্য সহজ হবে না।
প্রথম দুই দিনে খেলা হয়েছে ছয়টি সেশন, আর প্রতিটি সেশনেই বদলেছে ম্যাচের রূপ। প্রথম দিন শেষে জিম্বাবুয়ে ছিল ৬৭/০ অবস্থানে, যা দেখে বিশ্লেষকরা এগিয়ে রেখেছিলেন সফরকারীদের। কিন্তু দ্বিতীয় দিনেই বল হাতে ম্যাচে ফেরে বাংলাদেশ। বোলিংয়ে সমন্বিত পারফরম্যান্সের ঝলক দেখায় স্বাগতিকরা। বিশেষ করে, মেহেদী হাসান মিরাজের দুর্দান্ত স্পেল ছিল মূল প্রেরণা। এখন পর্যন্ত ক্যারিয়ারে ১১ বার পাঁচ উইকেট নেওয়া এই স্পিনার জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে আরও দারুণ কিছু করতে মরিয়া।
তিন পেসার—নাহিদ রানা, হাসান মাহমুদ ও খালেদ আহমেদও রাখেন কার্যকর ভূমিকা। তবে ম্যাচে এগিয়ে যেতে হলে তৃতীয় দিনের শুরুটা হতে হবে দৃঢ়।
মিরাজের মতে, “জয় আর মুমিনুল যদি প্রথম ঘণ্টাটা ভালোভাবে পার করতে পারে তাহলে দিনটা হতে পারে আমাদের জন্য ‘সোনালি সকাল’।”
ইউএ / টিডিএস