বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে প্রথম টেস্টে ভালো সূচনা করেও ইনিংস বড় করতে পারেননি দুই ওপেনার সাদমান ইসলাম ও মাহমুদুল হাসান জয়। মাত্র ১ রানের ব্যবধানে দুজনেই ভিক্টর নিয়াউচির শিকার হয়ে সাজঘরে ফেরেন। এতে ৩২ রানেই দুই উইকেট হারায় বাংলাদেশ। তবে সেখান থেকে দলকে সামাল দিচ্ছেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত ও মুমিনুল হক। এই জুটির ব্যাটে মধ্যাহ্ন বিরতির সময় বাংলাদেশের সংগ্রহ দাঁড়ায় ২ উইকেটে ৮৪ রান।
রোববার সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শুরু হয়েছে সিরিজের প্রথম টেস্ট। টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন টাইগার অধিনায়ক শান্ত। এই ম্যাচে লাল বলের ক্রিকেটে ফিরেছেন অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিম। আগের সিরিজে ছিলেন না তিনি ও শান্ত—যেটা ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে। অন্যদিকে, জাকির হাসানের জায়গায় একাদশে সুযোগ পেয়েছেন সাদমান।
প্রথম ইনিংসে দেখেশুনে শুরু করেন সাদমান ও জয়। জিম্বাবুয়ের দুই পেসার ব্লেসিং মুজারাবানি ও রিচার্ড এনগারাবার প্রথম স্পেলে খুব একটা চ্যালেঞ্জ ছিল না। ৮ ওভারেই আসে ২৪ রান। তবে নবম ওভারে ভিক্টর নিয়াউচির আক্রমণে নামতেই ছন্দপতন। ওভারের চতুর্থ বলেই অফ স্টাম্পের বাইরে লেংথে পড়া ডেলিভারিতে ড্রাইভ করতে গিয়ে গালিতে ক্যাচ দেন সাদমান। ২৩ বলে ১২ রান করে ফেরেন তিনি।
পরের ওভারে বিরতি দিয়ে আবারও আক্রমণে এসে জয়কেও ফিরিয়ে দেন নিয়াউচি। ষষ্ঠ স্টাম্প লাইনে করা গুড লেংথ ডেলিভারিতে উইকেটরক্ষকের হাতে ধরা পড়েন ১৪ রান করা এই ওপেনার।
শুরুতে ধাক্কা খাওয়ার পর দায়িত্ব নেন শান্ত ও মুমিনুল। ধীরে ধীরে দুজনই নিজেদের মানিয়ে নেন। যদিও একবার জীবন পেয়েছেন মুমিনুল—গ্লাভসে লেগে বল গেলেও ক্যাচ নিতে পারেননি উইকেটকিপার। এরপরও নিয়াউচি ও মুজারাবানির বলে কিছুটা বেগ পেতে হয়েছে দুজনকেই। তবে ধীরে ধীরে আত্মবিশ্বাস ফিরে পান, চাপ মুক্ত হয়ে খেলতে শুরু করেন। শান্ত কয়েকটি সুন্দর বাউন্ডারি হাঁকিয়ে বোলারদের চাপে ফেলেন।
দুজনের গড়া অর্ধশতাধিক জুটিতে মধ্যাহ্ন বিরতির আগ পর্যন্ত শান্ত অপরাজিত ৩০ ও মুমিনুল ২১ রানে ব্যাট করছেন, দলীয় স্কোর তখন ৮৪/২।