চার ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা বাড়ল হৃদয়ের

স্পোর্টস ডেস্ক

তামিম ইকবালের হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার পর মোহামেডানের নেতৃত্বে এসেছেন তাওহীদ হৃদয়। গতকাল চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী আবাহনীকে হারিয়ে শিরোপার দৌড়ে এগিয়ে গেছে মোহামেডান। তবে সেই জয়ের আনন্দ ম্লান করে দিয়েছে এক দুঃসংবাদ—তাওহীদ হৃদয়ের নিষেধাজ্ঞা এক ম্যাচ থেকে বেড়ে চার ম্যাচে দাঁড়িয়েছে।

ঘটনার সূত্রপাত মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত মোহামেডান ও আবাহনীর মধ্যকার ম্যাচে। সপ্তম ওভারের প্রথম বলে মোহামেডানের পেসার ইবাদত হোসেন আবাহনীর ব্যাটার মোহাম্মদ মিঠুনের বিপক্ষে এলবিডব্লিউর জোরালো আবেদন করেন। কিন্তু আম্পায়ার তানভীর আহমেদ আবেদন নাকচ করে দিলে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানান মোহামেডানের অধিনায়ক হৃদয়। তিনি একপর্যায়ে লেগ আম্পায়ার শরফুদ্দৌলা ইবনে শহীদ সৈকতের সঙ্গে বিতণ্ডায় জড়ান।

এই আচরণের কারণে ম্যাচ শেষে ম্যাচ রেফারি নিয়ামুর রশিদ রাহুল হৃদয়কে এক ম্যাচ নিষিদ্ধ করেন এবং ৪ ডিমেরিট পয়েন্ট দেন। কিন্তু পরে সংবাদ সম্মেলনে আম্পায়ারদের বিরুদ্ধে তীব্র সমালোচনা করে ও অশোভন ভাষা ব্যবহারের কারণে তার শাস্তি আরও বেড়ে যায়।

হৃদয় বলেন, সৈকত একজন আন্তর্জাতিক আম্পায়ার, আর আমরাও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। তিনি আরও বলেন, “ঘটনা যদি অন্যদিকে যায়, আমি মুখ খুলব ইনশা আল্লাহ।” আইসিসির আচরণবিধি অনুযায়ী এমন মন্তব্য শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হয়।

আইন অনুযায়ী, ম্যাচ শেষে ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে ম্যাচ রেফারি দ্বিতীয়বার রিপোর্ট দিতে পারেন। সে অনুযায়ী রেফারি হৃদয়ের মন্তব্যকে ‘অশোভন ও অবমাননাকর’ হিসেবে আখ্যা দেন এবং আরও ৪ ডিমেরিট পয়েন্ট যুক্ত করেন। ফলে হৃদয়ের মোট ডিমেরিট পয়েন্ট দাঁড়ায় ৮, এবং নিয়ম অনুযায়ী তাকে চার ম্যাচের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়।

এ প্রসঙ্গে বিসিবির আম্পায়ার ও ম্যাচ রেফারি কমিটির চেয়ারম্যান ইফতেখার মিঠু বলেন, তাওহীদ হৃদয়ের মতো জাতীয় দলের একজন খেলোয়াড়ের কাছ থেকে এমন আচরণ কাম্য নয়। তিনি বলেন, “আইসিসি প্যানেলভুক্ত আম্পায়ারের সঙ্গে এমন ব্যবহার কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। ভবিষ্যতে যাতে কেউ এমন না করে, সে জন্যই দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হয়েছে। তবে পুরো প্রক্রিয়ায় নিয়মকানুনই অনুসরণ করা হয়েছে।”

You may also like