১৮ বছর ২০২ দিন দীর্ঘ এই ক্যারিয়ারে অর্জন অনেক মুশফিকের।
বুধবার (৫ মার্চ) রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে ওয়ানডে ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দেন ৩৭ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার। ২০০৬ সালের আগস্টে যাত্রা শুরু করা এই উইকেটকিপার ব্যাটারের ওয়ানডে ক্যারিয়ার এখন শুধুই অতীত।
ওয়ানডে ক্রিকেটে বাংলাদেশের জার্সি গায়ে মুশফিকের রান ৭৭৯৫ যা দেশের ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। তার ওপরে আছেন শুধু তামিম ইকবাল।
বিদায় নিয়েছেন দলের হয়ে সবচেয়ে বেশি ওয়ানডে খেলার খেলোয়াড় হিসেবে। আর আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তার এই ক্যারিয়ার ৮ম দীর্ঘতম। তার চেয়ে লম্বা ক্যারিয়ার আছে শচীন টেন্ডুলকার, জাভেদ মিয়াঁদাদ, সনৎ জয়াসুরিয়া, অরবিন্দ ডি সিলভা, ক্রিস গেইল, শন উইলিয়ামস এবং শোয়েব মালিকের।
উইকেটরক্ষক মুশফিকের নামের পাশে আছে ২৯৭টি ডিসমিসাল। ওয়ানডের ইতিহাসে তার চেয়ে বেশি ডিসমিসাল আছে আর মোটে ৪ জনের। ৫ম উইকেটরক্ষক হিসেবে ৩০০ ডিসমিসাল থেকে অল্প দূরেই ছিলেন বাংলাদেশি এই উইকেটরক্ষক।
আরও দুই জায়গায় মুশফিকের নামটা থাকছে ৫ম স্থানে। উইকেটরক্ষক হিসেবে সবচেয়ে বেশি ক্যাচ এবং সবচেয়ে বেশি স্ট্যাম্পিং দুই জায়গাতেই মুশফিকের অবস্থান সারা বিশ্বে ৫ম স্থানে।
ওয়ানডেতে এক মাঠে সবচেয়ে বেশি রানের দিক থেকে মুশফিকের অবস্থান দুইয়ে। মিরপুর শের-ই বাংলা স্টেডিয়ামে ওয়ানডেতে করেছেন ২ হাজার ৬৮৪ রান। এই তালিকায় শীর্ষে আছে তামিম ইকবাল। মিরপুরেই যার রান ২ হাজার ৮৯৭।
ইউএ / টিডিএস