প্রথম দুই সেশনে হতাশ করেছে বাংলাদেশের বোলাররা। তবে শেষ সেশনে ঘুরে দাঁড়িয়েছে স্পিনারদের দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে। বিশেষ করে তাইজুল ইসলাম ও নাঈম হাসানের ঘূর্ণিতে চাপে পড়েছে জিম্বাবুয়ে। শেষ বিকেলে তাইজুলের একের পর এক আঘাতে ম্যাচে দারুণভাবে ফিরে এসেছে টাইগাররা।
চট্টগ্রামের বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে টেস্টের প্রথম দিনে ৮১ ওভার শেষে জিম্বাবুয়ের সংগ্রহ ৭ উইকেটে ২০৬ রান। সকালে শুরুতে দুই ওপেনার ব্রায়ান বেনেট ও বেন কারেন কিছুটা প্রতিরোধ গড়েন। ৪১ রানের উদ্বোধনী জুটি ভাঙেন পেসার তানজিম হাসান সাকিব, তার অফ স্টাম্পের বাইরে করা বলে কাট করতে গিয়ে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন বেনেট।
এরপর বেন কারেনকেও ফিরিয়ে দেন বাঁহাতি স্পিনার তাইজুল ইসলাম। দ্বিতীয় উইকেট পড়ে ৭২ রানে। এরপরই শুরু হয় ওয়েলচ ও উইলিয়ামসের দৃঢ় জুটি। তারা তৃতীয় উইকেটে যোগ করেন ৯০ রান। তবে ক্র্যাম্পজনিত সমস্যায় ৫৪ রান করে ‘রিটায়ার্ড হার্ট’ হন ওয়েলচ।
তাঁর বিদায়ের পর ক্রিজে আসেন অভিজ্ঞ ক্রেইগ আরভিন, কিন্তু বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। তাকে ফেরান অফ স্পিনার নাঈম হাসান। এরপর নিজের পরের ওভারেই উইলিয়ামসকে সাজঘরে ফেরান নাঈম—যিনি আগেই ১৬৬ বলে ৬৭ রানের ইনিংস খেলেছেন।
এরপর শেষ বিকেলে রোডেশিয়ানদের ওপর চাপ সৃষ্টি করেন তাইজুল। তিনি ফিরিয়ে দেন ১৫ রান করা মাদেভেরে, এরপর ৮১তম ওভারে পরপর দুই বলে তুলে নেন ওয়েলিংটন মাসাকাদজা ও রিচার্ড এনগারাভার উইকেট। প্রথমজন এলবিডব্লিউ, আর পরেরজন বোল্ড—দুই উইকেটেই স্পষ্ট ছিল তাইজুলের শাসন।
এই সেশনে ৯ উইকেট হারিয়ে জিম্বাবুয়ে ২২৭ রানে পৌঁছায়। বাংলাদেশ শুরুর চাপ কাটিয়ে স্পিন নির্ভর বোলিংয়ে ম্যাচে ফেরার ইঙ্গিত দিয়েছে।
ইউএ / টিডিএস