পাকিস্তান সুপার লিগে (পিএসএল) বাংলাদেশি তরুণ লেগস্পিনার রিশাদ হোসেন যেন হয়ে উঠেছেন আলোচনার কেন্দ্রে। লাহোর কালান্দার্সের হয়ে দুর্দান্ত বোলিং করে ‘সুপারপাওয়ার অব দ্য ডে’ পুরস্কার জিতেছেন এই তরুণ। পুরস্কার হিসেবে পেয়েছেন তিন লাখ পাকিস্তানি রুপি যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা।
করাচি কিংসের বিপক্ষে ৪ ওভারে ২৬ রানে ৩ উইকেট নেওয়া রিশাদের স্পেল ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেয়। যদিও শেষ দুই ওভারে কিছুটা খরচা হয়—একটিতে ১১, অন্যটিতে ১২ রান—তবে প্রথম দুই ওভারে মাত্র ৪ রান দিয়ে তুলে নেন শান মাসুদ, ইরফান খান ও আব্বাস আফ্রিদির গুরুত্বপূর্ণ উইকেট।
এটাই শুধু নয় নিজের অভিষেক ম্যাচেও ৩ উইকেট নিয়ে নজর কাড়েন রিশাদ। ফলে এখন পর্যন্ত দুটি ম্যাচ খেলে সংগ্রহ ৬ উইকেট। এর মধ্য দিয়ে তিনি উঠে এসেছেন পিএসএলে এক আসরে বাংলাদেশের পক্ষে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উইকেটশিকারির তালিকায়। তার ওপরে আছেন কেবল মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, যিনি ২০১৬-১৭ আসরে নিয়েছিলেন ৭ উইকেট।
পিছনে ফেলেছেন সাকিব আল হাসান (যদিও ৮ উইকেট পেয়েছেন, কিন্তু একাধিক আসরে), মুস্তাফিজুর রহমান (৪ উইকেট), এমনকি মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকেও একাধিক আসর বিবেচনায়।
সবচেয়ে বড় অর্জন চলতি আসরে এখন পর্যন্ত রিশাদই শীর্ষ উইকেটশিকারি। কোয়েটার আবরার আহমেদের সমান ৬ উইকেট থাকলেও বোলিং গড় ও ইকোনমিতে এগিয়ে রিশাদ। তার মাথায় উঠেছে ‘ফজল-এ-মাহমুদ ক্যাপ’—যা প্রতিদিনের সেরা বোলারকে দেওয়া হয়।
লাহোরের হয়ে ব্যাট হাতে ফখর জামান (৭৬) ও ড্যারিল মিচেল (৭৫) বড় স্কোর গড়লেও, করাচিকে মাঝপথে চেপে ধরার মূল কাজটা করেছেন রিশাদ এবং সিকান্দার রাজার স্পিন জুটি। ইনিংসের শুরুতে শাহীন আফ্রিদি দুইটি উইকেট তুলে নিলে চাপ আরও বাড়ে।
রিশাদের ফর্ম দেখে বিশ্লেষকরা বলছেন, খুব দ্রুতই তিনি পিএসএলে বাংলাদেশের হয়ে সব রেকর্ড নিজের করে নিতে পারেন। তার পরবর্তী ম্যাচ ২২ এপ্রিল প্রতিপক্ষ মুলতান সুলতানস।
ইউএ / টিডিএস