সিলেটে কাল থেকে শুরু হচ্ছে বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ের প্রথম টেস্ট। প্রায় চার বছর পর নিজেদের মাঠে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্ট খেলতে নামছে বাংলাদেশ। দলে নেই লিটন দাস ও তাসকিন আহমেদ, তবে তরুণ ও অভিজ্ঞ ক্রিকেটারদের মিশেলে ভারসাম্যপূর্ণ স্কোয়াড নিয়েছে স্বাগতিকরা। শক্তিশালী দল নিয়েই সফরে এসেছে জিম্বাবুয়ে। লড়াইটা সহজ হবে না—এটা ধরেই নিচ্ছে দুই দলই।
বাংলাদেশ দলের ব্যাটিং নির্ভর করছে অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিম ও মুমিনুল হকের ওপর। এই দুজনই ব্যাটিং অর্ডারের মূল ভরসা, আর জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে অতীত রেকর্ডেও তারা সফল। টেস্ট ফরম্যাটে মনোযোগী মুশফিক এরই মধ্যে প্রস্তুতি সেরে ফেলেছেন, কারণ এই সিরিজে তার সামনে রয়েছে বড় সুযোগ—রেকর্ড গড়ার।
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্টে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকদের তালিকায় মুশফিক আছেন চতুর্থ স্থানে। ১০ টেস্টে ১৮ ইনিংসে তার রান ৮৫৭, গড় ৫৭.১৩। এখন তার সামনে সুযোগ রয়েছে রাহুল দ্রাবিড় ও শচীন টেন্ডুলকারকে টপকে দ্বিতীয় কিংবা তৃতীয় স্থানে ওঠার। দ্রাবিড়ের রান ৯৭৯, আর শচীনের ৯১৮। মুশফিক যদি ১২৩ রান করতে পারেন, তাহলে দ্রাবিড়কে ছাড়িয়ে যাবেন। আর শচীনকে ছাড়িয়ে যেতে প্রয়োজন মাত্র ৬১ রান।
তালিকার শীর্ষে রয়েছেন শ্রীলঙ্কার মারভান আতাপাত্তু, যিনি ১০ টেস্টে ১১৪৫ রান করেছেন, গড় ৯৫.৪১। তার আছে পাঁচটি শতকও।
অন্যদিকে, মুমিনুল হকও জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বরাবরই ভালো খেলেছেন। ৮ টেস্টে ৭৫৭ রান করেছেন তিনি, যা তার ক্যারিয়ারের অন্যতম উজ্জ্বল অংশ।
সব মিলিয়ে সিলেট টেস্ট শুধু জয়-পরাজয়ের লড়াই নয়, বরং মুশফিকের ব্যাটে ইতিহাস লেখার সম্ভাবনাও তৈরি করেছে। খেলোয়াড়দের ব্যক্তিগত অর্জন আর দলের সাফল্য—দুটোর দিকেই চোখ থাকবে এবার।