টেস্ট ক্যারিয়ারে বেশি ম্যাচ না খেললেও চট্টগ্রামে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে নিজেকে প্রমাণের সুযোগটা ভালোভাবেই কাজে লাগিয়েছেন এনামুল হক বিজয়। ২০১৩ সালে অভিষেকের পর আজ মাত্র ষষ্ঠ টেস্ট খেলতে নামা এই ডানহাতি ব্যাটার সাদমান ইসলামের সঙ্গে গড়েছেন শতরানের উদ্বোধনী জুটি যা লাঞ্চের আগে বাংলাদেশকে এনে দেয় দারুণ এক স্বস্তি।
সাদমান ইসলাম তুলে নিয়েছেন তার ক্যারিয়ারের ষষ্ঠ ফিফটি ৯১ বলে করেন ৬৬ রান। আর বিজয় অপরাজিত থাকেন ৩৮ রানে—যেটা তার টেস্ট ক্যারিয়ারের সেরা ইনিংস। এর আগে কোনো ম্যাচে দুই ইনিংস মিলিয়েও কখনো ৩০ রান ছাড়াতে পারেননি তিনি। আজ সেই বন্ধ্যাত্ব কাটিয়ে দলের রানবোর্ডে বড় অবদান রাখেন। লাঞ্চের সময় বাংলাদেশের স্কোর দাঁড়ায় ১০৫ কোনো উইকেট না হারিয়ে।
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে এটি বাংলাদেশের মাত্র তৃতীয় শতরানের উদ্বোধনী জুটি। এর আগে ২০০৫ সালে তামিম ইকবাল–ইমরুল কায়েস এবং ২০০৪ সালে নাফিস ইকবাল–জাভেদ ওমর এই কীর্তি গড়েছিলেন। পাশাপাশি ১২ ইনিংস পর উদ্বোধনী জুটিতে পঞ্চাশ এবং ৩২ ইনিংস পর শতরান পেল বাংলাদেশ।
বাংলাদেশের দুই ওপেনার শুরু থেকেই খেলেছেন আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে। সাদমান ছিলেন আক্রমণাত্মক মেজাজে—নিয়মিতই খেলেছেন দৃষ্টিনন্দন বাউন্ডারি। আর বিজয় খেলেছেন ধৈর্যের পরিচয় দিয়ে। তার ৩৮ রান এসেছে ৬৫ বলে, যেখানে সাদমান খেলেছেন ৯১ বলে ৬৬ রানের ইনিংস।
এর আগে দিনের প্রথম বলেই জিম্বাবুয়ের ইনিংসের ইতি টেনে দেন তাইজুল ইসলাম। ব্লেসিং মুজারাবানি বাইরের বল ছুঁয়ে ক্যাচ দেন উইকেটকিপারের হাতে। এ উইকেট নিয়েই তাইজুল পূর্ণ করেন নিজের ইনিংস-সেরা ৬ উইকেট। জিম্বাবুয়ে থেমে যায় ২২৭ রানে।
জিম্বাবুয়ের শুরুটাও ছিল ভালো। ওপেনার বেনেট ও বেন কারেন স্থিতিশীল সূচনা এনে দিয়েছিলেন। বেনেটকে আউট করে টেস্ট অভিষেকে নিজের প্রথম উইকেট নেন তানজিম সাকিব। এরপর বেন কারেনকে ফিরিয়ে দেন তাইজুল। পরে নিক ওয়েলচ ও শন উইলিয়ামসের জুটিতে কিছুটা চাপে পড়ে বাংলাদেশ। তবে সেই চাপ কাটিয়ে ম্যাচে ফেরান নাইম ইসলাম—৪ বলে দুটি উইকেট নিয়ে।
পরবর্তীতে জিম্বাবুয়ে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে। তাইজুল শেষ বিকেলে আরও ৩ উইকেট তুলে নিলে সফরকারীরা চাপে পড়ে যায়। তার ৬ উইকেট ও নাইমের ৩ উইকেট মিলিয়ে জিম্বাবুয়েকে ২২৭ রানে থামিয়ে বাংলাদেশ নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নেয় ম্যাচটি।
ইউএ / টিডিএস