নাহিদ রানা—বাংলাদেশের পেস আক্রমণের উদীয়মান এক নাম। একসময় শুধু গতি ছিল তাঁর মূল অস্ত্র, কিন্তু নিয়ন্ত্রণে ছিল ঘাটতি। সময়ের সঙ্গে সেই দুর্বলতা কাটিয়ে এখন দ্রুতগতির বলেও আনতে পারছেন প্রয়োজনীয় নিখুঁত নিয়ন্ত্রণ, যার ফলাফল হিসেবে দেখা যাচ্ছে ধারাবাহিক সাফল্য।
আগামীকাল থেকে শুরু হওয়া জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজেও নাহিদের দিকে তাকিয়ে থাকবে বাংলাদেশ দল। নিয়মিত ১৪০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টার ওপরে বল করে প্রতিপক্ষকে চাপে ফেলেন এই তরুণ। ফলে বাংলাদেশের যেমন আশা তার কাছ থেকে, তেমনি জিম্বাবুয়ের জন্য তিনিই হয়ে উঠতে পারেন ভয়ংকর এক চ্যালেঞ্জ।
তবে নাহিদের গতি বা আগ্রাসন নিয়ে খুব একটা ভাবছেন না জিম্বাবুয়ের অভিজ্ঞ ব্যাটার শন উইলিয়ামস। গতকাল সংবাদ সম্মেলনে এসে তিনি বেশ আত্মবিশ্বাসের সঙ্গেই বললেন, “নাহিদ রানার মোকাবিলায় আমরা প্রস্তুত।” কীভাবে সেই প্রস্তুতি? উইলিয়ামস জানালেন, “আমাদের বোলিং মেশিন এমন গতি ছুঁড়তে পারে, যা মানুষের চেয়েও দ্রুত।”
নাহিদের সঙ্গে পেস আক্রমণে থাকবেন হাসান মাহমুদ, সৈয়দ খালেদ আহমেদ ও তানজিম হাসান সাকিব। যদিও তানজিমের টেস্ট অভিষেক এখনো হয়নি, তবে সীমিত ওভারের ক্রিকেটে তিনি নিজের সামর্থ্য প্রমাণ করেছেন। অন্যদিকে হাসান মাহমুদ পাকিস্তান ও ভারতের বিপক্ষে ৫ উইকেটের পারফরম্যান্স দেখিয়েছেন। আর রানা নিজে টেস্টে ৫ উইকেট পেয়েছেন গত বছর ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে, জ্যামিকায়।
বাংলাদেশের পেসারদের প্রশংসা করতে ভুল করেননি উইলিয়ামস, “তারা দারুণ। আমি দীর্ঘদিন ধরেই তাদের দেখে আসছি। ওরা একাধিক পেসার থেকে স্কোয়াড তৈরি করতে পারে, এটা সত্যিই চমৎকার।”
এদিকে আবহাওয়ার অবস্থাও হতে পারে খেলার গুরুত্বপূর্ণ একটা দিক। গত কদিন ধরেই সিলেটসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বৃষ্টি হচ্ছে। এমনকি বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ের অনুশীলনেও বৃষ্টির হানা পড়েছে। তবে এই পরিবেশে খুশিই উইলিয়ামস, “গতকাল অনুশীলনের সময় বৃষ্টি দারুণ লেগেছে। জুনের মতো সময়েও বৃষ্টি হতে পারে—এই সম্ভাবনা মাথায় রেখেই আমরা প্রস্তুতি নিচ্ছি।”