২০২৪ সালের জুলাই মাসে তার বিরুদ্ধে নিষিদ্ধ ওষুধ সেবনের অভিযোগ ওঠে।
বুধবার (১৬ এপ্রিল) ওই অভিযোগের প্রেক্ষিতে ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি) বার্কারকে সব ধরনের ক্রিকেট থেকে ১২ মাসের জন্য নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিজের ক্যারিয়ার গড়ার সুযোগ কখনোই পাননি কেইথ বার্কার। তবে ইংল্যান্ডের ঘরোয়া ক্রিকেটে বহু বছর ধরে নিয়মিত খেলেছেন এই বাঁ-হাতি পেসার।
এর আগেও ২০২৪ সালের মে মাসে একটি ডোপ টেস্টে পজিটিভ ফল আসায় প্রাথমিকভাবে নিষিদ্ধ হয়েছিলেন কেইথ বার্কার। ৫ মার্চ তিনি ইসিবির অ্যান্টি-ডোপিং নীতিমালার দুটি নিয়ম ভাঙার কথা স্বীকার করেন। এরপর ৪ জুলাই তিনি আবার মাঠে ফেরেন। জানা যায় বার্কার যে ওষুধটি সেবন করেছিলেন সেটি উচ্চ রক্তচাপের চিকিৎসার জন্য ব্যবহার করা হয়ে থাকে এবং এটি ছিল দীর্ঘমেয়াদী চিকিৎসার অংশ। যদিও এটি বিশ্ব অ্যান্টি-ডোপিং এজেন্সি (ওয়াডা)-র নিষেধাজ্ঞার তালিকায় রয়েছে। তবে অন্য একটি ওষুধের বিকল্প হিসেবেই এটি তাকে দেওয়া হয়েছিল।
এই ঘটনাকে ‘প্রশাসনিক ত্রুটি’ হিসেবে উল্লেখ করেছে রিভিউ প্যানেল। তারা আরও জানিয়েছে, বার্কার ইচ্ছাকৃতভাবে অ্যান্টি-ডোপিং নীতিমালা ভাঙেননি। এমনকি জাতীয় অ্যান্টি-ডোপিং প্যানেলের মতে, এই অননুমোদিত ওষুধ তার পারফরম্যান্সে কোনো উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলেনি। তবু নিয়মভঙ্গের কারণে ১২ মাসের নিষেধাজ্ঞা এড়াতে পারেননি তিনি।
নিষিদ্ধ হওয়ার প্রতিক্রিয়ায় হ্যাম্পশায়ারের ৩৮ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার জানান, ‘গত নয় মাস আমাকে অনেক দুশ্চিন্তার মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে। শুনানি চলাকালে আমার অবস্থা কঠোর শাস্তিপ্রাপ্ত কারও মতোই। যার পরই এসেছে আমার ক্যারিয়ারে ইতি ঘটিয়ে দেওয়া এই ঘোষণা, এটি এমন খেলা যেটি আমি কৈশোর থেকেই ভালোবাসি। কিছু প্রশাসনিক ভুল আমাকে পছন্দের খেলা থেকে দূরে সরিয়ে দিচ্ছে। আমার কঠিন সময়ে পাশে থাকা হ্যাম্পশায়ার পরিবারসহ সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।’
একইভাবে হতাশা প্রকাশ করেছেন হ্যাম্পশায়ার ক্লাবের পরিচালক গাইলস হোয়াইটও, ‘এটি আমাদের জন্য খুবই অনুশোচনীয় ঘটনা। এই ফল এসেছে খাটি একটি ভুলের কারণে। কেইথ ব্যতিক্রমী এক ক্রিকেটার এবং জুলাইয়ের পর থেকে তাকে দলে পাওয়ার দিকেই সবাই তাকিয়ে ছিল। গত ছয় বছর কেইথের পারফরম্যান্স ভক্তদের কাছেও খুব পছন্দের একজনে পরিণত করেছে।’
ইউএ / টিডিএস