ভুটান নারী লিগে খেলতে পাড়ি জমালেন বাংলাদেশের অন্যতম সেরা ফরোয়ার্ড কৃষ্ণা রাণী সরকার।
বুধবার (১৬ এপ্রিল) সকালে তিনি রওনা হয়েছেন। ভুটানে খেলা ৯ নারী ফুটবলারের মধ্যে তিনিই শেষ সদস্য হিসেবে যোগ দিচ্ছেন দলে। এবারের ভুটান নারী লিগে বাংলাদেশের ১০ জন ফুটবলার অংশ নিচ্ছেন তিনটি ভিন্ন ক্লাবে।
রুপ্না চাকমা ও মাসুরা পারভীনের সঙ্গে একসঙ্গে যাওয়ার কথা থাকলেও ওয়ার্ক পারমিট জটিলতায় কিছুটা দেরি হয় কৃষ্ণার। শেষমেশ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিশ্চিত হওয়ায় আজ সকালে ট্রান্সপোর্ট ইউনাইটেড ক্লাবে যোগ দিতে রওনা হন তিনি।
২০২২ সালে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে বাংলাদেশ নারী দলের ঐতিহাসিক সাফল্যে বড় ভূমিকা রেখেছিলেন কৃষ্ণা। গতি, ড্রিবলিং ও শার্প শুটিংয়ের কারণে তিনি এখনো জাতীয় দলের সবচেয়ে কার্যকর ফুটবলারদের একজন। তবে সম্প্রতি এক আঙুলের চোটের কারণে অনেকদিন মাঠের বাইরে ছিলেন। মাঠে ফিরলেও নিজের পুরোনো ছন্দ এখনও পুরোপুরি ফিরে পাননি।
ভুটানে নারী ক্লাব ফুটবল এখনও গড়ে উঠছে। তবে তারা ধারাবাহিকভাবে উন্নতির পথে হাঁটছে। গত বছর এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ভুটানের ক্লাব ‘রয়েল থিম্পু কলেজ’ অংশ নিয়েছিল যেখানে তিন বাংলাদেশি খেলোয়াড় ছিলেন। অথচ এখনও পর্যন্ত কোনো বাংলাদেশি নারী ক্লাব আন্তর্জাতিক আসরে খেলেনি।
জুনের তৃতীয় সপ্তাহে রয়েছে এএফসি এশিয়ান কাপ বাছাই পর্ব। সেক্ষেত্রে বাংলাদেশ নারী দলের কোচ পিটার বাটলার যদি ফুটবলারদের ডেকে পাঠান, তাহলে তাদের আসা-যাওয়ার খরচ বহন করবে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। কারণ ফিফা উইন্ডোতে ক্লাবগুলো বাধ্য থাকে খেলোয়াড় ছাড়তে।
ইউএ / টিডিএস