পাকিস্তান সুপার লিগে লাহোর কালান্দার্সের টানা দ্বিতীয় জয়ে বড় অবদান রাখলেন বাংলাদেশের তরুণ লেগ স্পিনার রিশাদ হোসেন।
মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) করাচি কিংসের বিপক্ষে দুর্দান্ত বোলিংয়ে ৪ ওভারে ২৬ রান দিয়ে তুলে নেন ৩টি উইকেট। প্রথম দুই ওভারে মাত্র ৪ রান দিয়ে নিয়েছিলেন সবগুলো উইকেটই।
প্রথম ওভারেই রিশাদ আঘাত হানেন। নিজের প্রথম বলেই ফিরিয়ে দেন শান মাসুদকে। একই ওভারে বিদায় করেন ইরফান খানকে। দ্বিতীয় ওভারে আবারও সাফল্য—আউট করেন আব্বাস আফ্রিদিকে। তার বোলিং ফিগার তখন দাঁড়ায়: ২ ওভারে ৪ রানে ৩ উইকেট। ৪ ওভারে দেন ২৬ রান, যার মধ্যে ১৪টি ডট বল ছিল।
শেষ দুই ওভারে কিছুটা খরচ হলেও শুরুতে করা ড্যামেজেই দিশেহারা হয় করাচি। ম্যাচ শেষে রিশাদের বোলিং ছিল অন্যতম হাইলাইট।
এই ম্যাচসহ পিএসএলে এখন পর্যন্ত দুটি ম্যাচ খেলে ৬ উইকেট ঝুলিতে পুরেছেন ২২ বছর বয়সী রিশাদ। পাকিস্তানি লেগ স্পিনার আবরার আহমেদের সঙ্গে যৌথভাবে এখন আসরের সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি তিনি। আগের ম্যাচে অভিষেকে নিয়েছিলেন ৩ উইকেট।
লাহোর কালান্দার্সের হয়ে ব্যাটিংয়েও ছিল দাপট। ফখর জামান (৪৭ বলে ৭৬) ও ড্যারিল মিচেল (৪১ বলে ৭৫) দলের হয়ে ঝড়ো ইনিংস খেলেন। তাদের ইনিংসে ভর করে লাহোর তোলে ২০১ রান। জবাবে করাচি কিংস অলআউট হয়ে যায় ১৩৬ রানে। লাহোর পায় ৬৫ রানের সহজ জয়।
শুরুতেই করাচির বিপদ ডেকে আনেন শাহিন আফ্রিদি—প্রথম ওভারেই ফিরিয়ে দেন ডেভিড ওয়ার্নার ও জেমস ভিন্সকে। এরপর রিশাদ-আফ্রিদিদের বোলিংয়ে করাচির ব্যাটিং লাইনআপ তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে।
শেষ ওভারে রিশাদের একটি সম্ভাব্য ক্যাচ সীমানা দড়ি টপকে ছক্কায় পরিণত হয়, নইলে তার উইকেট সংখ্যা হতে পারত চারটিও।
এই ম্যাচে শাহিন আফ্রিদিও নেন ৩ উইকেট, ৪ ওভারে খরচ করেন ৩৪ রান।
ইউএ / টিডিএস