এএফসি এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বে বাংলাদেশের পরবর্তী ম্যাচটি ১০ জুন অনুষ্ঠিত হবে, যেখানে ঘরের মাঠে তাদের প্রতিপক্ষ হবে সিঙ্গাপুর। এই ম্যাচের আগে, বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) পল্টনে অবস্থিত জাতীয় স্টেডিয়াম হস্তান্তর করার জন্য জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনএসসি) কে নির্দিষ্ট সময়সীমা বেঁধে দিয়েছে।
রোববার (১৩ এপ্রিল) বাফুফে ও এনএসসি কর্মকর্তাদের সঙ্গে এএফসি ম্যাচ কমিশনার মিন্দু দর্জি স্টেডিয়ামটি পরিদর্শন করেছেন। দিনের বেলাতে তিনি স্টেডিয়ামের সুযোগ-সুবিধাগুলো পর্যালোচনা করেন এবং রাতে ফ্লাডলাইট ও জায়ান্ট স্ক্রিন পর্যবেক্ষণ করেন।
জাতীয় স্টেডিয়ামের সংস্কারের কাজ ২০২১ সালের আগস্ট থেকে চলছে এবং এটি বাংলাদেশের প্রধান ফুটবল ভেন্যু হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে।
পরিদর্শনের পর, বাফুফে নির্বাহী কমিটির সদস্য কামরুল হাসান হিল্টন গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন এবং জানান, “এএফসি প্রতিনিধি স্টেডিয়ামের চিত্র নিয়ে সন্তুষ্ট। তবে কিছু ছোট ছোট পর্যবেক্ষণ রয়েছে, যেমন ম্যাচ কমিশনারের রুম, ডোপ টেস্ট রুম, ড্রেসিং রুম ইত্যাদি। তবে প্রধান সমস্যা হচ্ছে পিচ এবং ফ্লাডলাইট।”
স্টেডিয়ামের সংস্কার কাজের ব্যাপারে তিনি আরও বলেন, “জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন এবং আমরা সবাই এএফসি কর্মকর্তার সঙ্গে বৈঠক করেছি। এনএসসিকে আমরা ফ্লাডলাইট ঠিক করার জন্য ১০ মে এবং পুরো মাঠ ও অন্যান্য অবকাঠামোর কাজ সম্পন্ন করার জন্য ২২ মে পর্যন্ত সময়সীমা দিয়েছি।”
১৯৫৪ সালে প্রতিষ্ঠিত এই স্টেডিয়ামটি দীর্ঘদিন ধরে ঢাকা স্টেডিয়াম নামে পরিচিত ছিল এবং এটি রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন ক্রীড়া অনুষ্ঠানের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক পর্যায়ের বহু প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছে।
১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর স্টেডিয়ামটির নাম বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়াম করার প্রস্তাব দেওয়া হয়, এবং ১৯৯৮ সালে সেটি চূড়ান্ত অনুমোদন পায়। বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ফেব্রুয়ারিতে নতুন নামকরণ করে এটিকে “জাতীয় স্টেডিয়াম, ঢাকা” হিসেবে অভিহিত করেছে।