যদি আপনি ক্রিকেটের খুব ঘন ঘন দর্শক না হয়ে থাকেন, তাহলে সাহিবজাদা ফারহানের নামটা চেনা না-ও হতে পারে। পাকিস্তানের হয়ে খেলেছেন কেবল ৯টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ, তাও ছয় বছরের ক্যারিয়ারে। দেশের বাইরের কোনো ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে ডাক পাননি, বিপিএলেও কখনো দেখা যায়নি তাকে। ওই ৯ ম্যাচে মাত্র দুইবারই যেতে পেরেছেন ডাবল ফিগারে।
অখ্যাত আর অজানা হয়েই কেটেছে ফারহানের ক্যারিয়ারের বেশির ভাগ সময়। কিন্তু গতকাল রাতে, টি-টোয়েন্টির ইতিহাসে এক দারুণ রেকর্ড গড়ে ফেলেও যেন রয়ে গেলেন আড়ালে। আইপিএলের মাতামাতির মধ্যে চাপা পড়ে গেল তার দুর্দান্ত কীর্তি।
পিএসএলে পেশোয়ার জালমির বিপক্ষে ৫২ বলে ১০৬ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন ইসলামাবাদ ইউনাইটেডের এই ব্যাটার। দলকে জয়ের পথে রেখেছেন একার কাঁধে ভর করে। তবে এই ইনিংসের থেকেও বড় ঘটনা হলো—এই সেঞ্চুরি দিয়েই ফারহান স্পর্শ করেছেন এক ক্যালেন্ডার বছরে সবচেয়ে কম ইনিংসে চারটি টি-টোয়েন্টি সেঞ্চুরির রেকর্ড।
এই কীর্তিতে তিনি জায়গা করে নিয়েছেন ক্রিস গেইল, বিরাট কোহলি, জশ বাটলার ও শুভমান গিলের পাশে। তবে তাদের সবার চেয়ে অনেক দ্রুত—মাত্র ৯ ইনিংসে।
এক বছরে ৪টি টি-টোয়েন্টি সেঞ্চুরি (ইনিংস অনুযায়ী):
৯ ইনিংস – সাহিবজাদা ফারহান (২০২৫)
১৬ ইনিংস – জশ বাটলার (২০২২)
২২ ইনিংস – শুভমান গিল (২০২৩)
২৫ ইনিংস – বিরাট কোহলি (২০১৬)
৩০ ইনিংস – ক্রিস গেইল (২০১১)
পাকিস্তানের হয়ে এক বছরে চারটি টি-টোয়েন্টি সেঞ্চুরি করা প্রথম ব্যাটারও এখন ফারহান। চলতি বছর দেশটির ন্যাশনাল টি-২০ কাপ-এ করেছেন তিনটি সেঞ্চুরি:
লাহোরের বিপক্ষে ১১৪
কোয়েটার বিপক্ষে ১৬২
অ্যাবোটাবাদের বিপক্ষে ১৪৮
সব কটি ইনিংসই মাত্র ৯ দিনের ব্যবধানে খেলেছেন তিনি!
পিএসএলে প্রথম ম্যাচে ব্যর্থ হলেও, দ্বিতীয় ম্যাচেই বাজিমাত—১০৬ রানে গড়ে ফেললেন বিশ্বরেকর্ড।
এক বছরে সর্বোচ্চ টি-টোয়েন্টি সেঞ্চুরি (সবচেয়ে বেশি):
৪ – ক্রিস গেইল (২০১১)
৪ – বিরাট কোহলি (২০১৬)
৪ – জশ বাটলার (২০২২)
৪ – শুভমান গিল (২০২৩)
৪ – সাহিবজাদা ফারহান (২০২৫)