ব্যাপক আলোচনার পর অবশেষে মুখ খুললেন বিসিবির আম্পায়ার্স ও মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান ইফতেখার আহমেদ মিঠু।
গণমাধ্যমকর্মীদের সাথে আলাপকালে মিঠু বলেন, ‘এটা (হৃদয়ের কাজ) অগ্রহণযোগ্য। আমরা সবাই জানি সারা বিশ্বে কী হয়। আপনি আম্পায়ারের সিদ্ধান্তের উপর কথা বলতে পারবেন না। একটু কিছু শো করলেই আপনার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এটা তো আরও গর্হিত অপরাধ। এটা একদমই গ্রহণযোগ্য না। কোড অব কন্ডাক্টে লেখা আছে, কীসের জন্য কী শাস্তি।’
মিঠু আরও বলেন, ‘এখানে লেভেল দুই দিয়েছে, আমার মনে হয় ম্যাচ রেফারি নমনীয় ছিল দেখে ম্যাচ নিষেধাজ্ঞা এবং জরিমানা দিয়েছে। এখানে সর্বোচ্চ লেভেলের লঙ্ঘন হয়েছে। এগুলা আইসিসি থেকে দেওয়া হয়েছে। যেটা আইসিসি ফলো করে, আমরাও এটা ফলো করি। তরুণ একজন প্লেয়ার, ক্রিকেটের জন্য তার ভবিষ্যতের জন্য, প্লেয়ার হিসেবেও এটা করা উচিত না। এটা ভালো কোনো লক্ষ্মণ না। কালকের ম্যাচে ছিল সব নাম্বার ওয়ান। বিশ্বের সেরা ১০ আম্পায়ারের একজন ছিল। ম্যাচ রেফারি সেরা ২ জনের একজন।’
হৃদয়ের শাস্তি নিয়ে বিসিবির এই পরিচালক ব্যাখ্যা দিয়ে বলেন, ‘নাম্বার ওয়ান হচ্ছে আম্পায়ারের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত। নাম্বার টু আম্পায়ারের সিদ্ধান্তকে আপনি চ্যালেঞ্জ করতে পারেন না। এ কারণে বছরের পর বছর ধরে এই নিয়মগুলো এসেছে। এসব ঘটনা হতে হতে এখন আইসিসি এই নিয়মগুলো বানিয়েছে। ডিমেরিট পয়েন্ট এনেছে। ম্যাচ রেফারি কোড অব কন্ডাক্টে যা লেখা হয়েছে সে অনুযায়ী কাজ করেছি। ম্যাচ রেফারিরই সুযোগ আছে (আরও শাস্তি দেওয়ার)।’
হৃদয়ের ব্যাপারে মিঠু আরও বলেন, ‘এটা গ্রহণযোগ্য নয়, এটা কাম্য নয়। তাদের অজ্ঞতা থাকলে, দরকার হলে আমরা একটা ওয়ার্কশপ করতে পারি। সব প্লেয়াররা কিন্তু জানে আমার নিজ দায়িত্বে কিন্তু (এসব জানতে হবে)। সব কিছুর কিন্তু একটা কোড আছে। সেগুলো যেমন ফলো করছে এগুলোও ফলো করতে হবে।’
ইউএ / টিডিএস