জয়ের ধারা বজায় রেখে লিগ পর্বে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে আয়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধে খেলবে টাইগ্রেসরা।
রবিবার (১৩ এপ্রিল) পাকিস্তানের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় বিকেল ৩টায় আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে মাঠে নামবে টাইগ্রেসরা।
প্রথম ম্যাচে লাহোর সিটি ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন মাঠে টাইগ্রেসরা ১৭৮ রানের বিশাল ব্যবধানে হারায় থাইল্যান্ড নারী দলকে। এটি বাংলাদেশ নারী দলের ওয়ানডে ইতিহাসে সবচেয়ে বড় জয় (রানের ব্যবধানে)। সেই ম্যাচে একসঙ্গে হয়েছে একাধিক রেকর্ড—দলের সর্বোচ্চ দলীয় রান, দ্রুততম সেঞ্চুরি এবং দুই স্পিনারের মাধ্যমে প্রতিপক্ষের ১০ উইকেট শিকার।
টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশ ৫০ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে সংগ্রহ করে ২৭১ রান। ওপেনার ফারজানা হক করেন ৫৩ রান, আর শারমিন আকতার ছিলেন ৯৪ রানে অপরাজিত। চারে নেমে দুর্দান্ত ব্যাটিং করেন অধিনায়ক নিগার সুলতানা। মাত্র ৭৮ বলে তুলে নেন ওয়ানডে ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি। শেষ পর্যন্ত ৮০ বল খেলে ১৫টি চার ও ১টি ছক্কায় করেন ১০১ রান—যা বাংলাদেশের নারী ক্রিকেটে সবচেয়ে দ্রুত সেঞ্চুরির রেকর্ড।
এরপর বোলিংয়েও দারুণ পারফরম্যান্স দেখায় বাংলাদেশ। থাইল্যান্ড নারী দলকে মাত্র ২৮.৫ ওভারে ৯৩ রানে অলআউট করে দেয় টাইগ্রেসরা। স্পিন আক্রমণে নেতৃত্ব দেন ফাহিমা খাতুন ও জান্নাতুল ফেদৌস। ফাহিমা ২১ রানে নেন ৫ উইকেট। জান্নাতুল মাত্র ৭ রান খরচায় শিকার করেন ৫ উইকেট। নারী ওয়ানডে ইতিহাসে একই ইনিংসে দুই বোলারের ৫ উইকেট নেওয়ার ঘটনা এটিই প্রথম।
এমন এক রেকর্ড গড়া জয়ে বাছাই পর্ব শুরু করতে পেরে দারুণ খুশি বাংলাদেশ অধিনায়ক নিগার সুলতানা। ম্যাচ শেষে তিনি বলেন, ‘টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচেই জয়। দলের জন্য অবদান রাখতে পেরে অনেক ভালো লাগছে। আশা করি, দলের পারফরমেন্স অব্যাহত থাকবে। জয়ের ধারা অব্যাহত রাখার লক্ষ্য নিয়ে দ্বিতীয় ম্যাচ খেলতে নামব আমরা।’
অন্যদিকে বাছাই পর্বে শুভসূচনা হয়নি আয়ারল্যান্ডের। উদ্বোধনী ম্যাচে স্বাগতিক পাকিস্তানের কাছে ৩৮ রানে হারে তারা। প্রথমে ব্যাট করে পাকিস্তান করে ২১৭ রান। জবাবে আইরিশরা অলআউট হয়ে যায় ১৭৯ রানে। ফলে বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচটি হবে তাদের ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াই।
ইউএ / টিডিএস