অবশেষে ১২৮ বছরের দীর্ঘ বিরতির পর অলিম্পিকে ফিরছে ক্রিকেট। আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি (আইওসি) আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করেছে, ২০২৮ সালে লস অ্যাঞ্জেলেস অলিম্পিকে ক্রিকেট অন্তর্ভুক্ত হচ্ছে। টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে পুরুষ ও নারীদের বিভাগে ছয়টি করে দেশ অংশ নেবে।
অলিম্পিক ইতিহাসে ক্রিকেটের উপস্থিতি ছিল প্রায় অদৃশ্য—মাত্র একবার, ১৯০০ সালে। সেই একমাত্র ম্যাচের পর আর কখনও অলিম্পিকে জায়গা পায়নি এই জনপ্রিয় খেলা। তবে আইসিসি দীর্ঘদিন ধরেই এই অন্তর্ভুক্তির জন্য কাজ করছিল, যা অবশেষে সফল হলো।
প্রতিটি দলে থাকবে সর্বোচ্চ ১৫ জন খেলোয়াড়। আয়োজক দেশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি অংশগ্রহণ করতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। অন্য দেশগুলোকে বাছাই পর্বের মাধ্যমে জায়গা করে নিতে হবে। বর্তমানে আইসিসির অধীনে রয়েছে ১২টি পূর্ণ সদস্য এবং ৯০টিরও বেশি সহযোগী সদস্য দেশ, যারা মূলত টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে খেলছে—ফলে বাছাইপর্বে হবে কঠিন প্রতিযোগিতা।
ফুটবলে বড় পরিবর্তন: ছেলেদের সংখ্যা কমছে, মেয়েদের বাড়ছে
অলিম্পিক ফুটবলে দেখা যাচ্ছে উল্লেখযোগ্য রদবদল। পুরুষদের বিভাগে এত দিন ১৬টি দল অংশ নিলেও এবার তা কমিয়ে ১২টি করা হচ্ছে। বিপরীতে, মেয়েদের ফুটবলে অংশগ্রহণকারী দলের সংখ্যা বাড়ানো হচ্ছে ১৬-তে।
আইওসি’র স্পোর্টস ডিরেক্টর কিন ম্যাকোনেল এই পরিবর্তনের পেছনে যুক্তরাষ্ট্রে মেয়েদের ফুটবলের জনপ্রিয়তাকে কারণ হিসেবে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, “আমেরিকায় নারীদের ফুটবলের যে অগ্রগতি ও গ্রহণযোগ্যতা, এই সিদ্ধান্ত তারই প্রতিফলন।”
প্রসঙ্গত, অলিম্পিকে নারী ফুটবলে যুক্তরাষ্ট্র এখন পর্যন্ত পাঁচবার স্বর্ণ জিতেছে এবং দেশটিতে নারী ফুটবল উপভোগ করে বিপুল দর্শকশ্রেণি।
সব মিলিয়ে, ২০২৮ সালের লস অ্যাঞ্জেলেস অলিম্পিক হতে যাচ্ছে ঐতিহাসিক—ক্রিকেটের প্রত্যাবর্তন আর নারী ফুটবলের বিস্তৃত অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে।