গোল ‘চুরি’ করে সতীর্থ কুবার্সির কাছে ক্ষমা চাইলেন রাফিনহা।
বুধবার (৯ এপ্রিল) রাতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম লেগে বরুশিয়া ডর্টমুন্ডকে ৪-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে বার্সেলোনা। কাতালানদের পক্ষে প্রথম গোলটি করেন রাফিনহা। এরপর রবার্ট লেভানডফস্কি জোড়া গোল ও লামিন ইয়ামাল শেষ গোলটি করেন।
তবে অলিম্পিক স্টেডিয়ামে রাফিনহার করা গোল নিয়ে বার্সার ড্রেসিংরুমে কিছুটা অস্বস্তির পরিবেশ তৈরি হয়েছে। গোলটি আদতে রাফিনহার নাকি সতীর্থ পাও কুবার্সির—তা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। অনেকেই মনে করছেন, বল জালে পাঠানোর আগেই সেটি কুবার্সির নিয়ন্ত্রণে ছিল, আর রাফিনহা শেষ মুহূর্তে ছুঁয়ে ‘গোলটি চুরি’ করেছেন। ফলে বিতর্কের পাশাপাশি সতীর্থদের মধ্যে কিছুটা অস্বস্তি দেখা দিয়েছে।
ম্যাচের ২৫তম মিনিটে পাও কুবার্সির শট প্রায় গোললাইন পার করে ফেলেছিল। কিন্তু ঠিক সেই সময় বলটিতে পা ছুঁয়ে দেন রাফিনহা। ফলে গোলটি কুবার্সির না হয়ে রেকর্ডে চলে যায় রাফিনহার নামে। যদি রাফিনহা শেষ মুহূর্তে বলটিতে স্পর্শ না করতেন তাহলে এটি হতো কুবার্সির চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ক্যারিয়ারের প্রথম গোল। কিন্তু ১৮ বছর বয়সী এই স্প্যানিশ তরুণের স্কোরশিটে নাম ওঠা আর হলো না।
তবে গোলের পর রাফিনহা কিছুটা দুশ্চিন্তায় ছিলেন। কারণ কুবার্সির শট নেওয়ার সময় তিনি অফসাইডে অবস্থান করেছিলেন কি না—তা খতিয়ে দেখছিল ভিএআর। কিছুটা সময় ধরে চলা সেই পর্যবেক্ষণের পর শেষ পর্যন্ত সিদ্ধান্ত যায় বার্সেলোনার পক্ষে। হতাশ হওয়ার মতো কোনো সিদ্ধান্ত আসেনি বরং গোলটি বৈধ বলেই ধরে নেওয়া হয়।
২৮ বছর বয়সী তারকা সাংবাদিকদের বলেন, ‘প্রথম গোলটা নিয়ে একটু চিন্তায় ছিলাম যদি অফসাইড হয়ে যেত। ভালো হয়েছে যে সেটি গোল হয়েছে। আমি কুবার্সির কাছে ক্ষমা চেয়েছি। ও (কুবার্সি) বলেছে চিন্তার কিছু নেই। এটাকে অ্যাসিস্ট হিসেবে ধরবে। আমি ভেবেছিলাম বলটা বাইরে চলে যাবে। একেবারে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় সেটি করেছিলাম।’
এটি চ্যাম্পিয়ন্স লিগে চলতি মৌসুমে রাফিনহার ১২তম গোল। যা অন্য যেকোনো খেলোয়াড়ের চেয়ে বেশি। এছাড়াও লেওয়ানডস্কি ও ইয়ামালের গোলেও অ্যাসিস্ট করেছেন তিনি। এতে তার অ্যাসিস্ট সংখ্যা দাঁড়ালো ৭।
ইউএ / টিডিএস